মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুন খালাস

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৬ মার্চ ২০২৫ ০১:৫৫ অপরাহ্ণ   |   ৯২ বার পঠিত
মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুন খালাস

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
 

বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।
 

এর আগে, গত মঙ্গলবার আপিলের ওপর শুনানি শেষে আজকের দিনটি রায়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ ডিসেম্বর একই বেঞ্চ মামুনের আপিল গ্রহণ করে তার সাজা স্থগিত করেছিলেন। আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও আইনজীবী জাকির হোসেন।

 

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে এই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক রহমান ব্যবহার করেন।
 

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার আদালত এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হলেও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
 

দুদক তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে, যা ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট গ্রহণ করে। ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট নতুন রায়ে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখলেও তার জরিমানা ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
 

পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর মামুনের আপিলের শুনানি নিয়ে ১০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তা গ্রহণ করেন। অবশেষে, আজ আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে খালাসের রায় দেন।