নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের উৎস ও কর ফাঁকি খতিয়ে দেখার দাবি

প্রকাশকালঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৩ অপরাহ্ণ ১৬৭ বার পঠিত
নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের উৎস ও কর ফাঁকি খতিয়ে দেখার দাবি

জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের উৎস ও কর ফাঁকি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত আলোচনায় এ দাবি জানান তারা। 

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে সম্পদের হিসাব ২০০৮ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে এবার আয়কর নথিও জমা দিতে হয়েছে। এসব নথিতে দেখা যায়, অনেক সংসদ সদস্যের সম্পদ বেড়েছে শতগুণের বেশি। 

অর্থনীতিবিদদের মতে, এমপি নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদে প্রবেশাধিকার সহজ হয়। ফলে অনেক সংসদ সদস্যদেরই সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়িত্ব সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখা। নির্বাচনে বিদেশি শক্তির চেষ্টার সমালোচনা করে তারা বলেন, আটলান্টিকের ওপার থেকে এসে বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না কেউ।

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওই আটলান্টিকের ওপার থেকে এসে কেউ আমাদের দেশের সমস্যা সমাধান করে দিয়ে যাবে, এমন হতে পারে না। আমার দেশের সমস্যা আমাদের সমাধান করতে হবে। আর সেই জন্য নীরব থাকব, নিরাপদ থাকব, আর কেউ এসে সব ঠিক করে দিয়ে যাবে—এর চেয়ে ভ্রান্ত ধারণা আর কিছু হতে পারে না। আমরা সেটা বিশ্বাস করি না।’ 

অভিযোগ ওঠেছে, নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় অনেক প্রার্থী সম্পদ গোপন করেছেন।

এ ব্যাপারে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অন্যকিছু বাদ দিলেও তথ্য গোপন করার কারণে প্রার্থিতা বাতিল হবে। এবং তথ্য যে গোপন হয়েছে, সেটার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। যার তথ্যের কথা বলা হয়েছে, তিনি সেটা মেনে নিয়েছেন। আইনে কিন্তু বলা আছে, এ নিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। সারা দেশবাসী জানে, আমরা না জানলে তো হবে না।’.

অর্থনীতিবিদদের মতে, জবাবিদিহিতা নিশ্চিত করা না  হলে দেশে বৈষম্য বাড়তে পারে।