প্রকাশকালঃ
১৬ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৫১ অপরাহ্ণ ৪৫৪ বার পঠিত
নতুন চুলে পুরোপুরি ভিন্ন এক লুকে নিজেকে হাজির করতে কার না ভালো লাগে? তাই চুল রং করা বর্তমান সময়ের নতুন এক ট্রেন্ড। শখের বশে অনেকেই চুলে নতুন রঙের ছোঁয়া লাগান। কিন্তু নতুন লুকের পেছনে লুকিয়ে থাকে নতুন শঙ্কাও। চুলে রং করার প্রভাব চুলের স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে। চুলে রং করার আগে রঙের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিই।
চুলে রং করানোর উপায়
স্থায়ী রং: এ ধরনের রঙে অ্যামোনিয়ার ব্যবহার করা হয়, যা চুলের পিএইচ মাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া রং ধরে রাখতে প্রতি ১২ সপ্তাহ অন্তর চুলে নতুন করে লাগানোর প্রয়োজন পড়ে।
অস্থায়ী রং: এ ধরনের রং চুলের বহিঃস্তরে কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে কয়েক সপ্তাহ পরপর রং ধরে রাখতে অন্তত টাচআপের প্রয়োজন হয়।
ব্লিচ: চুলের গাঢ় রং হালকা করার জন্য ব্লিচ করা হয়। কালো চুলে নীল, লাল রং করার আগে ব্লিচ করে নেওয়া হয়।
অ্যামোনিয়ামুক্ত রং: এ ধরনের রংকে ডেমি-পার্মানেন্ট হেয়ার কালারও বলে। এতে অ্যামোনিয়া থাকে না, কিন্তু হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড থাকে। চুল নরম করতে ব্যবহার করা হয় এই রং।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অ্যালার্জিজনিত সমস্যা
চুলের রঙে অ্যামোনিয়া রয়েছে। এ কারণে অনেকেরই অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে। যেহেতু চুলের স্থায়ী রং সরাসরি বহিঃস্তরে প্রভাব ফেলে, সেহেতু অনেকেরই অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এ ছাড়া যাঁদের আগে থেকেই অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চুল রং করা উচিত নয়। চুল ও মাথার ত্বক—উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে। এমনকি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে।
দুর্বল হয় চুলের গোড়া
যেকোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ চুলে ব্যবহার করলে তাতে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। যেহেতু চুলের স্থায়ী রং সরাসরি চুলের বহিঃস্তরে প্রভাব ফেলে, তাই বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ চুলের গোড়া দুর্বল করে।
চুল পাতলা হতে শুরু করে
চুল রং করার পর চুলের নিয়মিত যত্ন করতে হয়। নইলে ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যেতে পারে চুল। গোড়া দুর্বল হয়ে গেলে অতিরিক্ত পরিমাণ চুল উঠতে শুরু করে, সেখান থেকে মাথায় চুলের ঘনত্বও কমতে থাকে। চুল যাতে পাতলা না হয়ে যায়, সেদিকে যথেষ্ট নজর ও যত্ন রাখতে হবে।
চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়
চুলে রং করার পর কমবেশি সবাইকেই এ সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। সঠিক যত্ন না নিলে চুল আস্তে আস্তে রুক্ষ ও শুষ্ক হতে শুরু করে।
মনে রাখবেন, চুল রং করা শুধু শখের বিষয় নয়। বরং চুলে রং করা দীর্ঘ সময়ের একটি প্রতিশ্রুতি। রং করার পর চুলের যত্নেও আপনাকে ঠিক একই পরিমাণ সময় দিতে হবে। তাই ভেবেচিন্তে চুল রং করার সিদ্ধান্ত নিন।