ঢাকা প্রেস,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:-
ময়মনসিংহের চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক আকাশ হত্যা মামলায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক দুই যুবককে রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত অটোও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মিলন (২০) এবং রবিন মিয়া (১৯)।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুর রশিদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৬ নভেম্বর রাতে সদরের চর সিরতা সরকারবাড়ি টেকের মাথা কালভার্ট (ব্রীজ) সংলগ্ন পাঁকা রাস্তার পূর্ব পাশে এক অজ্ঞাতনামা যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। বিষয়টি জানার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। মৃতের পরিচয় সনাক্ত করা হলে জানা যায়, তার নাম আকাশ মিয়া, তিনি সদরের চর হাসাদিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় অটো চালক। হত্যাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আকাশের গলা কেটে ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে তার অটো ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় তদন্ত শুরু করে ডিবি। ওসি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে খিলগাঁও বস্তি থেকে রবিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ ভোরে হত্যার মূল আসামি মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকায় সাগর মিয়ার গ্যারেজের সামনে থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
ডিবির ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, নিহত আকাশ এবং তার হত্যাকারীরা একই গ্রামের বাসিন্দা। মিলন ঢাকায় পোশাক শিল্পে শ্রমিক এবং রবিন চালের আড়তের শ্রমিক। ফেসবুকে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয়ের পর আকাশ ও মিলনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। প্রায় দুই মাস আগে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছিল। এই বিরোধের জেরে মিলন ও রবিন আকাশকে হত্যা এবং তার অটো ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মিলন আকাশকে ফোন করে তার অটো নিয়ে আসতে বলেন।
ওসি শহিদুল আরও জানান, আকাশ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অটো নিয়ে মিলনের কাছে পৌঁছান। মিলন ও রবিন আকাশের অটোতে পরানগঞ্জ ও বোররচরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিলন অটোর পিছনের সিট থেকে আকাশের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সজোরে টান দেন। এরপর আকাশকে ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে তারা অটো নিয়ে পালিয়ে যায়।