চার দিনের অফিস শুরুর ফল যেমন হচ্ছে

প্রকাশকালঃ ২৩ মার্চ ২০২৩ ০৩:১৮ অপরাহ্ণ ১৫৩ বার পঠিত
চার দিনের অফিস শুরুর ফল যেমন হচ্ছে

প্তাহে পাঁচ দিন অফিস সময়ের পরিবর্তে যুক্তরাজ্য অফিস সময় চার দিনে নামিয়ে এনেছে। এখনো এটা পাইলট প্রকল্পের আওতায় আছে। গত ফেব্রুয়ারির জরিপে দেখা গেছে, চার দিন অফিস সময় চালু করার ফল অত্যন্ত ইতিবাচক হচ্ছে।

সপ্তাহে চার দিন অফিস সময় চালুর এই পাইলট প্রকল্পে যুক্তরাজ্যের বিপণন সংস্থা থেকে শুরু করে আর্থিক সংস্থা, শিক্ষা পরিষেবা, মাছ, চিপের দোকানসহ ৬০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ নিয়োগকর্তা বলেন, তারা এই প্রকল্পের পর সংক্ষিপ্তভাবে এই কর্মসপ্তাহ চালিয়ে যাবেন। আর ৩০ শতাংশ বলেন, তারা এই পরিবর্তন স্থায়ী করবেন। এসব অফিসের প্রায় ৩ হাজার কর্মীর মধ্যে ৭১ শতাংশ বলেন, চার দিন অফিস চালু হওয়ায় তাদের চাপের মাত্রা কমে এসেছে। শারীরিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতারও উন্নতি হয়েছে।

 

যদিও পাইলট প্রকল্পে থাকা শতভাগ সংস্থা শিগগির মডেলটি বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়নি। তবে চার দিনের কর্মসপ্তাহের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সাধারণ সাফল্য নিয়োগকর্তাকে এটাই নির্দেশ করে যে প্রথাগত ৯টা থেকে ৫টার অফিস সময় কাজ করছে না।
অ্যাবিগাইল মার্কস, নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির ফিউচার অব ওয়ার্ক বিষয়ের অধ্যাপক
এই প্রকল্পে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঐক্যমত্যে নিয়ে এসেছে অলাভজনক সংস্থা ফোর ডে উইক গ্লোবাল। অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সপ্তাহে চার দিন অফিস চালু হওয়ায় তাদের কর্মীরা পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে পেরেছেন। নানা শখ পূরণ করাসহ আরও বেশি নিজের যত্ন নিতে পেরেছেন।

 

যুক্তরাজ্যের গেটসহেডের প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমার-অ্যাডভাইস হেল্পলাইন সিটিজেনস অ্যাডভাইসের প্রধান নির্বাহী অ্যালিসন ডান বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা মহামারি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংকটের পর তাদের কাজের তীব্রতা বাড়িয়েছে। কর্মক্ষেত্রে চাপ একটি সমস্যা ছিল। তাই সপ্তাহে চার দিনের অফিস তাদের কিছুটা চাপ কমিয়ে দিয়েছে। আমরা কর্মীদের তাদের সন্তানদের সঙ্গে বাড়তি দিন কাটাতে, বনে বেড়াতে এবং শখ পূরণে সহায়তা করতে পেরেছি।’

যুক্তরাজ্যের বিপণন সংস্থা থেকে শুরু করে আর্থিক সংস্থা, শিক্ষা পরিষেবা, মাছ, চিপের দোকানসহ ৬০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এসব অফিসের প্রায় ৩ হাজার কর্মীর মধ্যে ৭১ শতাংশ বলেন, চার দিন অফিস চালু হওয়ায় তাদের চাপের মাত্রা কমে এসেছে। শারীরিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতারও উন্নতি হয়েছে।


পাইলট প্রকল্পে অংশ নেওয়া নিয়োগকর্তারা আরও বলেন, সংক্ষিপ্ত কর্মসপ্তাহ কর্মীদের উৎপাদনশীলতা ও আউটপুট বাড়িয়ে দেয়। লিডস-ভিত্তিক ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ট্রিও মিডিয়ার সিইও ক্লেয়ার ড্যানিয়েলস বলেন, যখন কর্মীরা অতিরিক্ত সাপ্তাহিক ছুটি উপভোগ করেন, তখন তা আরও ভালো কর্মজীবনের ভারসাম্য তৈরি করে। এতে কর্মীরা আরও সুখী ও কম চাপে থাকেন। আর সুখী মানুষ কর্মক্ষেত্রে আরও ভালো কাজ করে।

তবে এমন ইতিবাচক ফল থাকলেও এই পাইলট প্রকল্প সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমানভাবে কাজ করেনি। কিছু প্রতিষ্ঠান শুরু করেও পরে এই প্রকল্প থেকে বের হয়ে গেছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এখনো পুরোদমে চার দিনের কর্মসপ্তাহ শুরু করেনি। সংস্থাগুলো সংক্ষিপ্ত কর্মসপ্তাহ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হচ্ছে। যদিও প্রকল্পে অংশ নেওয়া অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে। তারপরও বলা হয়, চার দিনের কর্মসপ্তাহ সবার জন্য সমান সমাধান নয়।

 

গত বছরের জুনে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাপ্লাইস কোম্পানি অলক্যাপ যুক্তরাজ্যের চার দিনের কর্মসপ্তাহ প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। করোনা মহামারিতে ব্যবসা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পর গ্লুচেস্টার-ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্ক রডরিক আশা করেছিলেন, এই ছয় মাসের পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে তার ৪০টি শক্তিশালী টিমকে অতিরিক্ত বিশ্রামের দিন দেওয়া যেতে পারে।

মার্ক রডরিক বলেন, ‘আমরা এটিকে ব্যবসার মাধ্যমে নিয়ে এসেছি। এই প্রকল্পে আমরা দেরিতে যোগ দিয়েছি। জানতাম যে এটি আমাদের পাঁচটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জ হবে। তবে আমরা গ্রীষ্মে আমাদের কর্মীদের ছুটি দিতে চেয়েছিলাম।

প্রকল্পে অংশ নেওয়া ৬১টি প্রতিষ্ঠান কর্মীদের সপ্তাহে তিন দিন ছুটি দেওয়া প্রস্তাব করেছে। অথচ অলক্যাপ সেখানে কর্মীদের প্রতি ১৫ দিনে ১ দিন ছুটির কথা বলেছে। এ বিষয়ে মার্ক রডরিক বলেন, ‘আমাদের এটা ট্রেডিং ব্যবসা। উত্পাদন ও নির্মাণসামগ্রীর জন্য গ্রাহকেরা সব সময় কল করেন। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কর্মী ছাঁটাই করেছি। তাই আমরা প্রতি সপ্তাহে কর্মীদের এক দিন করে ছুটি দিতে পারিনি।’

মার্ক রডরিক আরও বলেন, চার দিনের কর্মসপ্তাহ শুরুর পর তার প্রতিষ্ঠান দ্রুত নানা সমস্যার মধ্যে পড়েছিল। ১০টি স্বাভাবিক কর্মদিবসের বিপরীতে কর্মীদের ৯টি দিন বাজে থাকে। একবার কর্মীরা নির্ধারিত দিনে ছুটি পেলে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। একবার ছুটির দিন, অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত যত্নের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়েছিল। একজন কর্মীর ছুটির দিনে কীভাবে সেই কাজ চালানো হবে, তা নিয়েও বেশ বেগ পেতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।

 

এ কারণে অলক্যাপ তাদের তিনটি প্রধান বাণিজ্যিক ক্ষেত্র থেকে দুই মাস আগেই পাইলট প্রকল্প থেকে বের হয়ে গেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির গুদাম ও উত্পাদন কেন্দ্রগুলোয় এখনো চার দিনের কর্মসপ্তাহ চলছে।

রডরিক আরও বলেন, কর্মীদের সমস্যার পাশাপাশি তার প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি চার দিনের কর্মসপ্তাহ বাস্তবায়ন করা কঠিন করে তুলেছে। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি পেশাদার হন তবে প্রায়ই প্রকল্পভিত্তিক কাজ থাকবে, যা সময়সীমা পূরণে আরও বেশি নমনীয়। আমাদের মিলিং মেশিন, ট্রেড কাউন্টার ও ২৪ ঘণ্টার ডেলিভারি ব্যবস্থা আছে। তাই এখানে বাড়ি থেকে কাজ করা অসম্ভব এবং অফিসে ন্যূনতমসংখ্যক কর্মী লাগবেই। তা না হলে ব্যবসা করতে পারবেন না।’

 

কিছু প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যবসার ক্ষেত্রে চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করার অর্থ হলো অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের জন্য খরচ বৃদ্ধি করা। এ কারণে নতুন প্রকল্প চালু করার ব্যাপারে অনেকের অনাগ্রহ আছে।
লন্ডনভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়াটারওয়াইজের প্রজেক্ট অ্যান্ড রিসার্চ ম্যানেজার লরা হোয়াইট বলেন, কাজ শুরু করার জন্য পঞ্চম দিন না থাকলে, সপ্তাহ আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। এতে আরও বেশি চাপ থাকে।

মার্ক রডরিক বলেন, ‘আমরা দেখেছি যখন কারও ছুটি থাকে, তখন ওই কাজ অন্য একজন সহকর্মীকে করতে হয়, এতে তার চাপ বেড়ে যায়। যেহেতু কর্মীদের ছুটি থাকে বা অনুপস্থিত থাকে, তাই আমাদের গুরুত্ব বিবেচনা করে কেবল প্রতিদিনের কাজগুলো করতে হয়। এতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প ও কৌশলগত কাজগুলো বাকি থেকে যাচ্ছে।’

 

কিছু প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যবসার ক্ষেত্রে চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করার অর্থ হলো অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের জন্য খরচ বৃদ্ধি করা। এ কারণে নতুন প্রকল্প চালু করার ব্যাপারে অনেকের অনাগ্রহ আছে।

কনজ্যুমার-অ্যাডভাইস হেল্পলাইন সিটিজেনস অ্যাডভাইসের প্রধান নির্বাহী অ্যালিসন ডান বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান পূর্ণকালীন সময়ের সমতুল্য তিনজন অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করেছে। এতে কনট্যাক্ট সেন্টারের ৪৫ ​​জন কর্মী এই প্রকল্পে যোগ দিতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কোনো সুযোগ থেকে বাদ পড়ুক, এমন পরিস্থিতি আমরা চাইনি।’

 

অ্যালিসন ডান বলেন, ‘কিছু কর্মী অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ার জন্য কর্মদিবসে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে পারেন। কিন্তু আমাদের কনট্যাক্ট সেন্টারে তা সম্ভব নয়। কারণ, এই টিমে কর্মীদের কাজের ক্ষেত্র নির্ধারণ করা আছে। নির্ধারিত কেপিআইয়ের মাধ্যমে তাদের কাজ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ কারণে তৃতীয় দিনের ছুটির ব্যাপারে নমনীয় নই। কনট্যাক্ট সেন্টারে সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন হলো শুক্র ও সোমবার। তাই সপ্তাহান্তের দুই দিকেই তাঁদের ছুটি দেওয়া সম্ভব নয়।’

চার দিনের কর্মসপ্তাহের এই পাইলট প্রকল্প সরাসরি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের পরিবর্তে অ্যালিসন ডান তাঁর প্রতিষ্ঠানে আগামী মে মাস পর্যন্ত এই প্রকল্প চালু রাখতে আগ্রহী। এই সময়ের মধ্যে কনট্যাক্ট সেন্টারের টিম এই লক্ষ্য পূরণ করতে না পারলে তার প্রতিষ্ঠানের অন্য কোনো বিভাগে এই প্রকল্প স্থায়ীভাবে চালু করা সম্ভব হবে না।

 

‘আমাদের ২২০ জন কর্মী আছে। আমি কল্পনাও করতে পারি না যে তাদের মধ্যে কাউকে চার দিন কর্মসপ্তাহের অনুমতি দেব আর অন্যদের দেব না। আকারের পরিবর্তে চার দিনের কর্মসপ্তাহে অসুবিধাগুলো ব্যবসায় জটিলতায় সৃষ্টি করে’, বলেন অ্যালিসন ডান।

অ্যালিসন ডানের কনজ্যুমার-অ্যাডভাইস হেল্পলাইন সিটিজেনস অ্যাডভাইসের মতো ওয়াটারওয়াইজ ও ট্রিও প্রতিষ্ঠান দুটিও এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছে।

ট্রিও মিডিয়ার সিইও ক্লেয়ার ড্যানিয়েলস বলেন, ‘স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ছয় মাসের প্রকল্প খুব বেশি সময় নয়। আমরা দেখতে চাই, এটি পুরো এক বছরে কেমন কাজ করে এবং উত্পাদনশীলতা বেশি থাকে কি না, তা নিশ্চিত হতে চাই।’

 

কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে কর্মীদের জন্য নতুন কিছু নমনীয় নীতি চালু করেছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান হলো নর্থহ্যাম্পটন-ভিত্তিক ক্রিয়েটিভ এজেন্সি অ্যামপ্লিটিউড। প্রতিষ্ঠানটির সিইও জো বার্নস-রাসেল কর্মীদের জন্য চার দিনের কর্মসপ্তাহকে ঐচ্ছিক করে দিয়েছেন।

জো বার্নস-রাসেল বলেন, পাইলট প্রকল্পের পর প্রত্যেকে তাদের সংক্ষিপ্ত সপ্তাহের কাজ ভিন্নভাবে করতে চেয়েছিলেন। এক দিন ছুটি দেওয়ার পরিবর্তে কর্মীদের নিজের জন্য সবচেয়ে ভালো কাজটি বেছে নিতে দেওয়া ভালো। ১২ জনের একটি দলের সঙ্গে একটি চৌকস প্রতিষ্ঠান হিসেবে, এটি ভালো কাজ করে।

 

নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলের ফিউচার অব ওয়ার্ক বিষয়ের অধ্যাপক অ্যাবিগাইল মার্কস বিশ্বাস করেন, নির্দিষ্ট চার দিনের অফিস পদ্ধতির পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত কাজের সপ্তাহ ও নমনীয়তার এই মডেল কর্মীদের জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য আনতে পারে।

অ্যাবিগাইল বলেন, কাজের চাপ না কমিয়ে ও অতিরিক্ত কাজকে আরও বিস্তৃতভাবে মোকাবিলা না করে, চার দিনের কর্মসপ্তাহ তীব্র কাজের চাপকে আরও তীব্র করার ঝুঁকি তৈরি করে। যে সংস্থাগুলো এটি করতে সক্ষম, তাের মধ্যে চার দিনের কর্মসপ্তাহের চেয়ে ছয় ঘণ্টার কর্মদিবস আরও বেশি কার্যকর হতে পারে।

 

অ্যাবিগাইল আরও বলেন, যদিও পাইলট প্রকল্পে থাকা শতভাগ সংস্থা শিগগির মডেলটি বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়নি। তবে চার দিনের কর্মসপ্তাহের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সাধারণ সাফল্য নিয়োগকর্তাকে এটাই নির্দেশ করে যে প্রথাগত ৯টা থেকে ৫টার অফিস সময় কাজ করছে না। এটি মহামারি–পরবর্তী কাজের জগতে আরেকটি পরীক্ষা। এতে এটাই দেখা হচ্ছে যে দীর্ঘ সময়ের অফিস সংস্কৃতি স্বাস্থ্যকর বা টেকসই নয়।

তাই বর্তমানে চার দিনের কর্মসপ্তাহ কিছু কোম্পানির জন্য স্থায়ীভাবে চালু রাখা একটি পরীক্ষা হতে পারে। এটি সবার জন্য বাস্তবসম্মত না–ও হতে পারে বলে মনে করেন অ্যাবিগাইল।