ঢাকা প্রেস
নোয়াখালী প্রতিনিধি:-
সিলেটের জন্তাপুর গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে হাফেজ মো. ইয়াহইয়া (২২)। জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন হলেও তিনি মাদরাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন। দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও ইয়াহইয়া নিজের জীবনকে অর্থবহ করে তুলেছেন এবং অন্যদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন।
২০০২ সালে জন্মগ্রহণ করা ইয়াহইয়ার জীবন শুরু থেকেই ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা। জন্মান্ধ হওয়ায় তাকে নানা ধরনের সমাজিক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। তবে ইয়াহইয়া কখনো হার মানেননি। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি হিফজ সম্পন্ন করেন এবং এরপর থেকেই বিভিন্ন মাদরাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন।
বর্তমানে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কোরআন মাদরাসায় হিফজ বিভাগে শিক্ষকতা করছেন ইয়াহইয়া। তার মধুর কণ্ঠস্বর এবং কোরআন তেলাওয়াত সবার মন মুগ্ধ করে। তিনি প্রতিদিন ১০-১৫ জন শিক্ষানবিশ হাফেজকে কোরআন শিখিয়ে থাকেন।
দৃষ্টিশক্তিহীন হলেও ইয়াহইয়া সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী। নিজে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে চলাফেরা সবই নিজে করেন। তিনি বলেন, "আমি ১২ বছর বয়সে হিফজ সম্পন্ন করি। জীবনের শুরু থেকে আমি পৃথিবীর অনেক কিছু উপভোগ করতে পারছি না। তবে মৃত্যু পর্যন্ত আমি কোরআনের সঙ্গে থাকতে চাই।"
সুবর্ণচরের তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিম এইচ এম নাছরুল্লাহ বলেন, "দৃষ্টিশক্তিহীন হলেও ইয়াহইয়া কারও বোঝা না হয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কোরআনের সঙ্গে থাকতে চান। তার এ উদ্যম ও মনের শক্তি সমাজের প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছি।"