বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দিয়ে নতুন যুগের টি-টোয়েন্টি দল গঠন করেছে পাকিস্তান। তবে সেই নতুন শুরুর পথচলা একেবারেই হতাশাজনক। প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পরিণতি বরণ করতে হলো সালমান আলি আগার নেতৃত্বাধীন দলকে। ডানেডিনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটের পরাজয় দেখল পাকিস্তান। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা।
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি ম্যাচ, যার ফলে খেলা কমে দাঁড়ায় ১৫ ওভারে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান। শুরুতেই দুই ওপেনার দ্রুত বিদায় নেওয়ায় চাপের মুখে পড়ে দল। তবে অধিনায়ক সালমান আগার ৪৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। শেষদিকে শাদাব খান (১৪ রান, ২৬ বল) ও শাহিন শাহ আফ্রিদি (২২ রান) কিছুটা ঝড় তুললেও সংগ্রহ বড় করা সম্ভব হয়নি।
নিউজিল্যান্ডের বোলাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। জ্যাকব ডাফি ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল—৩ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া বেন সিয়ার্স, জিমি নিশাম ও ইশ সোধিও সমানসংখ্যক (২টি করে) উইকেট তুলে নেন।
পাকিস্তানের পেসার শাহিন আফ্রিদি দারুণভাবে বোলিং শুরু করেন, প্রথম ওভারেই মেডেন দেন। তবে এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড। টিম সেইফার্ট মাত্র ২২ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ ভেঙে দেন। তার সঙ্গে ফিন অ্যালেন যোগ দেন আরও বিধ্বংসী ব্যাটিং নিয়ে—১৬ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। এতে ম্যাচের গতি পুরোপুরি কিউইদের দিকে চলে যায়।
শেষদিকে মিচেল হে (২১ বলে ১৬) ও অধিনায়ক মিচেল ব্রেসওয়েল (৫ রান) দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সহজেই।
প্রথম ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হারার পর এবার সিরিজ রক্ষার চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের সামনে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২১ মার্চ, অকল্যান্ডে। বাকি দুটি ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৬ মার্চ। পাকিস্তান কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে, নাকি নিউজিল্যান্ড আগেভাগেই সিরিজ নিশ্চিত করবে—এটাই এখন দেখার বিষয়!