চাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৫:১৮ অপরাহ্ণ   |   ২৭ বার পঠিত
চাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে নির্বাচিত ২৫ জন প্রতিনিধি আজ বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করেছেন। তবে নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস শপথ নেননি।
 

বেলা ১২টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ড. মোহাম্মদ ইউনুস ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই শপথ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও চাকসুর সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। তিনি নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করান। হল সংসদের প্রতিনিধিদের শপথ পড়ান তাঁদের নিজ নিজ হলের প্রভোস্টরা।
 

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হৃদয় চন্দ্র তড়ুয়া ও শহীদ ফরহাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
 

শপথগ্রহণ থেকে বিরত থাকা ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সদস্য আকাশ দাস বুধবার রাতে তাঁর ফেসবুকে বুয়েটের ধর্ষণ ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সেটিকে ‘নারীবিদ্বেষী’ ও ‘ধর্ষণকে স্বাভাবিকীকরণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন, যেমন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ছাত্রদল, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী ও ইসলামী ছাত্র মজলিস বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। তারা তাঁর নিঃশর্ত ক্ষমা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানায়।
 

এ বিষয়ে আকাশ দাস বলেন, “আমি গেলে সংঘাতের আশঙ্কা ছিল, তাই শপথ অনুষ্ঠানে যাইনি। অভিযোগ এসেছে, প্রশাসন নিশ্চয়ই তদন্ত করে দেখবে।”
 

চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, “চাকসু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপরিহার্য অঙ্গ। নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিজেদের মত ও দাবি প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে।”
 

সহসভাপতি (ভিপি) মো. ইব্রাহীম বলেন, “চাকসু নির্বাচন আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িত। নানা বিতর্ক ও বাধা পেরিয়ে একটি সুন্দর, গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখব।”
তিনি আরও বলেন, “আকাশ দাস তাঁর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন, আশা করি বিষয়টি এখানেই শেষ হবে।”

 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ, ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য ও সাবেক চাকসু নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৮১ সালের চাকসুর সাবেক ভিপি ও জিএসরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
 

উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) হন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত মো. ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সাঈদ বিন হাবিব ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ছাত্রদলের আয়ুবুর রহমান। ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতে জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’।