আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তৃতীয়বারের মতো ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের শুরুতেই বল হাতে নেমে একাই নেদারল্যান্ডসকে চাপে ফেলে দেন তিনি। নিজের প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি পেসার। তৃতীয় ওভারে ফেরান কাইল ক্লেইনকে (১২ বলে ৯), স্লোয়ার ডেলিভারিতে হৃদয়ের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। শেষ ওভারে ফিরিয়ে দেন নোয়াহ ক্রুসকে (১৩ বলে ১১), ক্যাচ নেন সাইফ হাসান।
১৮ ওভারে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১১৭ রান। ক্রিজে টিম প্রিঙ্গলের সঙ্গী ছিলেন আরিয়ান দত্ত।
ডাচ ব্যাটার শারিজ আহমেদকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। তার বলে জাকের আলীর হাতে চমৎকার এক ক্যাচে পরিণত হন শারিজ (১৪ বলে ১৫)। এই উইকেটের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের শিকার দাঁড়াল ১৪০। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ডাচরা।
প্রায় দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা সাইফ হাসান বোলিংয়েই দেখালেন বাজিমাত। প্রথম ওভারে বল হাতে নিয়েই তুলে নিলেন দুই উইকেট। চতুর্থ বলেই সুইপ করতে গিয়ে জাকেরের হাতে ধরা পড়েন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস (৭ বলে ১২)। এটিই ছিল তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্রথম উইকেট।
ওই ওভারের শেষ বলে ফেরান নিদামানুরুকে (২৬ বলে ২৬), যাকে ক্যাচ নেন তাওহিদ হৃদয়। ১১ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৭৩।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তার বলে মাক্স ও’ডাউড (১৫ বলে ২৩, ৩ চার, ১ ছক্কা) ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ফলে ভাঙে ২৫ রানের জুটি। শুরুতে দ্রুত রান তুললেও এরপর রানের চাকা থেমে যায় সফরকারীদের। পাওয়ার প্লেতে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৪/১।
অষ্টম ওভারে আবারও আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ফেরান বিক্রমজিৎ সিংকে (১১ বলে ৪)। লং অনে পারভেজ ইমনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তখন ক্রিজে ছিলেন নিদামানুরু ও অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। ৯ ওভারে ডাচদের রান ২ উইকেটে ৬০।
সিলেটে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডস সিরিজকেই বড় প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।
শক্তি ও ক্রিকেট ঐতিহ্যের বিচারে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও ডাচরা হাল ছাড়েনি। নিয়মিতভাবেই তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে এবং গত আসরে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে।
বাংলাদেশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
নেদারল্যান্ডস: মাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, তেজা নিদামানুরু, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, শারিজ আহমেদ, ড্যানিয়েল ডোরাম, টিম প্রিঙ্গল ও নোয়াহ ক্রুস।
