নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে সরকারের অবস্থান জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৫৪ অপরাহ্ণ   |   ৮৪ বার পঠিত
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে সরকারের অবস্থান জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা প্রেস নিউজ


 

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কি না, কিংবা রাজনীতির মাঠে তারা কীভাবে সক্রিয় হবে, সে বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর গ্রিন রোডে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি ভবনে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
 

উপদেষ্টা বলেন, "আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা পুরোপুরি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। সরকার কোনো দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না বা এ বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দেবে না।"
 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে সতর্কতামূলক বক্তব্য দিতেই পারে। এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার এবং এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক বাস্তবতায় স্বাভাবিক।

 

রাজনৈতিক দল গঠনের প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, "উপদেষ্টা পরিষদের কেউ যদি রাজনৈতিক দল গঠন করেন, তবে তারা উপদেষ্টা পদ ত্যাগ করেই তা করবেন। আমার জানা মতে, উপদেষ্টা পরিষদে থাকা অবস্থায় কেউ এমন উদ্যোগ নেননি। ফলে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ বা আশঙ্কার জায়গা দেখছি না।"
 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে বক্তব্য দিতেই পারে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের বিবেচনার মধ্যেই রয়েছে।"

 

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "বিএনপি স্পষ্টভাবে বলেছে, এখনো অনাস্থার কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। ফলে এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।"

 

আগামী নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে রিজওয়ানা হাসান বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কথা তিনি জাতীয় পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও বলেছেন। এর বাইরে সরকারের পক্ষ থেকে ভিন্ন কিছু বলার সুযোগ নেই।"
 

সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, "এই বিষয়গুলো প্রক্রিয়াকেন্দ্রিক। ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রধানরা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। এরপর সরকার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কাজ শুরু করবে। তবে সংস্কার সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট সময়সীমা আগে থেকেই বলে দেওয়া সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হলো স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।"
 

উপদেষ্টা আরও বলেন, "যে সময়সীমার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যেই কিছু বিচারের কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তবে সংস্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার মতো কোনো ম্যান্ডেট অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।"

 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত তাদের নিজস্ব বিষয়, আর সরকার এই প্রক্রিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি, সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সময়সীমা মেনে কাজ করছে।