মায়ের মৃত্যুর সময় পাশেই ছিলেন তারেক রহমান

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:০৫ অপরাহ্ণ   |   ৩৫ বার পঠিত
মায়ের মৃত্যুর সময় পাশেই ছিলেন তারেক রহমান

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় মারা যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। 

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য ঢাকা প্রেসকে এসব কথা জানান।

 

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থার গুরুতর অবনতি হলে মেডিকেল বোর্ড তারেক রহমানকে অবহিত করেন। তিনি গুলশান থেকে ভোরে দ্রুত হাসপাতালে যান। এর আগে তারেক রহমান মঙ্গলবার রাত ২টায় মাকে দেখে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। 

 

অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে এই চিকিৎসক বলেন, ম্যাডামের আত্মার মাগফিরাতের জন্য আপনারা সবাই দোয়া রাখবেন। মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ভোর ৬টায় খালেদা জিয়া শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন। অবস্থার গুরুতর অবনতি হলে মেডিকেল বোর্ড দ্রুত পরিবারকে অবহিত করে। তারেক রহমান খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে আসেন। মৃত্যুর আগে মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করেন তারেক রহমান। প্রথমে তাকে একাই আইসিইউতে যেতে দেওয়া হয়েছে। এরপর পরিবারের সবাই ভেতরে যান। 

 

তিনি জানান, এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সময় তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দ শামিলা রহমান, তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান উপস্থিত ছিলেন। তবে লন্ডনে থাকায় কোকোর বড় মেয়ে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

 

এই চিকিৎসক আরও জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যু ঘোষণার পর সেনাবাহিনী পরবর্তী কার্যক্রম তদারকি করছে। 

 

মেডিকেল বোর্ডের সদস্য আইসিইউ কনসালট্যান্ট ডা. জাফর ইকবাল মঙ্গলবার ভোরে সময়ের আলোকে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ডায়লাসিস বন্ধ হলেই শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়। স্বাস্থ্যের অনেক জটিলতা থাকায় বয়সের কারণে একসঙ্গে সব চিকিৎসা দেওয়াও যাচ্ছিল না। 

 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে মেডিকেল বোর্ড সদস্য জিয়াউল হক সময়ের আলোকে জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল হওয়ায় বোর্ডের সব সদস্যকে দ্রুত তলব করা হয়। সবাই রাতেই হাসপাতালে চলে যান। ইনফেকশনের ভয়ে প্রথমে রাতে পরিবারের সদস্য কাউকে আইসিইউর ভেতরে যেতে দেয়নি।