ঢাকা প্রেস নিউজ
পাঁচ বছরের নির্যাতন ও অমানবিক পরিবেশ.........
ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা সম্প্রতি গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হয়েছেন। তিনি তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন যা শুনে চমকে উঠতে বাধ্য যে কেউ।
অন্ধকার ও একাকিত্বের জগৎ:
মাইকেল চাকমার বর্ণনা অনুযায়ী, ‘আয়নাঘর’ ছিল এক অন্ধকার, একাকীত্বের জগৎ। ছোট্ট ঘরে কোন জানালা ছিল না, কোন আলোর ঝলকানি ছিল না। চারদিকে শুধু দেয়াল। তিনি বলেন, “এটাতো মানুষের বসবাসের জায়গা না। মানুষ এভাবে বাঁচে না। এটাতো কবরের মতো।”
মানসিক যন্ত্রণা:
শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি, মাইকেল চাকমা মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন। একাকীত্ব, অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যতের প্রতি আশঙ্কা তার মানসিক স্বাস্থ্যকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রাষ্ট্রীয় বাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ:
মাইকেল চাকমা অভিযোগ করেছেন যে, এই নির্যাতনের সাথে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। তিনি আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এই ঘটনার বিচার চান।
মাইকেল চাকমার অভিজ্ঞতা সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। মানুষ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং ন্যায়ের দাবি তুলেছে।
এই ঘটনা আমাদের সকলকে ভাবিয়ে তোলে যে, আমাদের সমাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের সকলকে মিলে এই ধরনের নির্যাতন বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
মূল বিষয়:
মাইকেল চাকমার অভিজ্ঞতা আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদের সকলকে মিলে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।