রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানায়, ৪.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাচুয়াং এলাকায়। তাদের সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, গভীরতা ছিল ১০৬.৮ কিলোমিটার এবং ভূমিকম্পটির প্রভাব পড়েছে মিয়ানমারের সাগাইং ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশসহ বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে।
ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার অন্যতম। ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সীমান্তে অবস্থান করায় দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই প্লেটদ্বয়ের সংযোগস্থলকে ‘সাইগং ফল্ট’ বলা হয়, যা মান্দালয় থেকে ইয়াঙ্গুন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত—এ অঞ্চল দিয়ে লাখো মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছিল থাইল্যান্ডসহ বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীনে। বিশেষজ্ঞরা জানান, গত দুই দশকে মিয়ানমারে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প আর ঘটেনি।