প্রকাশকালঃ
১৯ মার্চ ২০২৩ ০৪:৫৫ অপরাহ্ণ ৩৭১ বার পঠিত
বাংলাদেশের দর্শকও হয়তো এ বছর সিনেমাটি দেখতে পারবেন। কারণ মৃণাল সেনের বাড়ি ছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরে। উপমহাদেশের কিংবদন্তী নির্মাতা ছিলেন মৃণাল সেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডেল তার সাফল্য গাঁথা খুব বেশি মানুষ জানেন না। এই সিনেমায় সেইসব দিক উঠে আসবে।’— বিখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের জীবনী নিয়ে করে নির্মিত ‘পদাতিক’ সিনেমা প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এরইমধ্যে সিনেমাটির বেশিরভাগ শুটিং শেষ হয়েছে। অন্যদিকে চঞ্চল চৌধুরী মানেই চরিত্র নিয়ে নতুন করে খেলা। নাটক, ওয়েব, সিনেমা, যেখানেই তিনি হাজির হন সেখানেই ভিন্ন এক চঞ্চলে মুগ্ধ হন সবাই। এই সিনেমাটিতেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সিনেমাটি প্রথম লুক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দর্শকদের মাঝে কৌতুহল বিরাজ করছে। সেই জায়গা থেকে দর্শক প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুতও করেছেন এই অভিনেতা।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘বহুদিন ধরে এ কাজটির প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। শুটিংয়ে ভাষাগত সমস্যা ফেস করতে হয়েছে। কারণ মৃণাল সেন বাংলা ইংরেজি হিন্দি সব ভাষায় কথা বলতেন। এই চরিত্র ধারণ করতে আমার যতটুকু করার আমি চেষ্টা করেছি। যেকোনো কাজে আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টায় কমতি থাকে না। পদাতিকেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মৃণাল সেনের অবয়বে চঞ্চলের লুক প্রকাশিত হয়। সেগুলো দেখে অনেকের চোখ কপালে উঠেছিল! অনেকে বলছিলেন, ঠিক যেন মৃণাল সেনই হাজির হয়েছেন। সিনেমায় ছয়টি বয়সের লুক উঠে আসবে।
চঞ্চল জানান, তার আগে শিশু বয়সে মৃণাল সেন এবং ইয়াং মৃণাল সেনের চরিত্রে দু’জন অভিনয় করেছেন। সিনেমাটিতে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘৩০-৩৫ বছর থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত মৃণাল সেনের লুকগুলোতে আমাকে অভিনয় করতে হয়েছে। জন্ম থেকে মৃত্যু, তার কাব্যময় জীবন উঠে এসেছে।’ ‘পদাতিক’ সিনেমাটি নির্মাণ করছেন কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি।
তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘সৃজিত মুখার্জি এর আগে তার বিভিন্ন কাজে প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। আমরা নিজেদের কাজগুলো দেখি, পছন্দ করি। তিনি এর আগে আমাকে নিয়ে একটি কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি হয়নি। এবার সৃজিত গবেষণা ও যত্ন নিয়ে সিনেমাটি বানাচ্ছেন। আমার মনে হয়, এই কাজটি ইতিহাসের পাতায় থেকে যাওয়ার মতো হবে।’