অপহৃত জেলেদের মধ্যে মাঝি হিসেবে পরিচয় পাওয়া গেছে আব্দুল হাফেজ ও মো. আমিনের। অন্যদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “আজ সকালেও দুটি ট্রলারসহ ১৩ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। পাশাপাশি আরও কয়েকটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। ভাটার কারণে ট্রলারগুলো বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে ফিরতে বাধ্য হয়, আর এ সুযোগে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।”
আবুল কালাম আরও বলেন, অপহৃতদের একজন মাঝি আব্দুল হাফেজের সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয়েছিল। হাফেজ জানিয়েছিলেন, টেকনাফ ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে ধাওয়া দিয়ে ট্রলারগুলোর জেলেদের আটক করে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়। এর পরপরই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি আমরা অবগত আছি। গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিতই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। ট্রলার মালিক সমিতির তথ্যমতে, গত চার দিনে পাঁচটি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি।”