কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভারি বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৩ আগu ২০২৫ ০৭:২৬ অপরাহ্ণ   |   ৩৭ বার পঠিত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভারি বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় ভারি বৃষ্টিপাতে গ্রামীণ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি কুরুষাফেরুষা, ফকিরপাড়া ও পূর্বফুলমতি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারসহ হাজারও বাসিন্দা।
 

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা, ফকিরপাড়া এলাকা বালারহাট যাওয়ার গ্রামীণ সড়কটি ভারি বৃষ্টিতে ২০ থেকে ২৫ ফিট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে কুরুষাফেরুষা, ফকিরপাড়া, পূর্বফুলমতি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারসহ পাশ্ববর্তী গজেরকুটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে ।
 

এতে চরম দুর্ভোগ নিয়ে ওই এলাকার মানুষ জরুরি প্রয়োজনে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বালারহাট বাজার ও ফুলবাড়ী সদরে যাচ্ছেন। 
 

এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশটুকু মেরামত করার আবেদন করলেও কোনো সাড়া পায়নি। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 
 

স্থানীয় আবুল খন্দকার ও মানিক মিয়া জানান, আজ থেকে দুই বছর আগে বৃষ্টিতে সড়কের কিছু অংশ ভেঙে যায়।
 

সড়কটি মেরামতের জন্য জনপ্রতিনিধি দোরগোড়ায় গিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। এভাবেই আস্তে আস্তে ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর কয়েকজন স্থানীয় মিলে তিন-চার ট্রলি ভিটি বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়। এরপর গত এক বছরে আবারও বৃষ্টিতে ধসে ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের ভোগান্তি দেখা দেয়।
 

কোন রকমেই গত ৬ মাস ধরে সাধারণ মানুষসহ বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এরই মধ্যে বুধবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। এখন সাইকেল ও মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। কোনো রকমেই শুধু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। তারা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
 

ওই এলাকার চিকিৎসক মিটুন চন্দ্র জানান, আগে কোন রকমেই যাতায়াত করা গেছে। এখন সম্পূর্ণ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বালারহাট বাজারে যাচ্ছি। 
 

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসেন আলী জানান, এই মুহূর্তে কোনো বরাদ্দ নেই। তারপরও ভেঙে সড়কটি পরিদর্শন করে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ভেঙে যাওয়া সড়কটি মেরামত করার আশ্বাস দেন।