বেশ গরম পড়েছে। রাতে খাবার বাইরে রাখলে সকালে নষ্ট হয়ে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। আবার সকালে খাবার গরম করে রেখে এলেও সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখা যায় সে খাবারও আগের মতো ফ্রেশ থাকছে না। সবসময় রান্না করা সম্ভব হয়ে ওঠে না তাই আমাদের জানতে হবে সহজে কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার কিছু টিপস—
*রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। গরম খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না। *গরমে দিনে রান্না করা খাবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার আগেই সংরক্ষণ করতে হবে। *একবারে বেশি পরিমাণ খাবার রান্না না করে প্রয়োজনমতো রান্না করতে হবে। *ভাত তরকারি খাওয়া শেষে মনে করে রেফ্রিজারেটরে রাখুন।
*ডাল, সেদ্ধ আলু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই খাওয়ার পর বাকি অংশ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে। *খাবারের মান ভালো রাখতে ছোট ছোট বক্সে ঢাকনা দিয়ে খাবার রাখুন। *বারে বারে লোডশেডিং হলে রেফ্রিজারেটর দরজা বেশি খুলবেন না। *কাঁচা মাছ বা মাংস ভালো করে ধুয়ে বরফের চেম্বারে রাখতে হবে। ছোট ছোট প্যাকেট করে ডিপে রাখুন। *যতটুকু প্রয়োজন একবারে ততটুকুই বের করুন ফ্রিজ থেকে। *কাঁচা সবজি, কাঁচা মরিচ ঠেসে না রেখে বাজার থেকে আনার পর এগুলোকে ছড়িয়ে রেখে বাতাসে পানি শুকিয়ে গেলে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। *কাঁচা মরিচের বোঁটা ফেলে রাখুন অনেক দিন ভালো থাকবে। *রেফ্রিজারেটরে শাকজাতীয় তরকারি পরিষ্কার করে যেকোনো বাক্সে রাখতে হবে। *পরিবারের অন্য সদস্যদেরও বলে রাখুন যেন ফ্রিজে খাবার তুলতে তারাও সাহায্য করে।
অনেকে বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করেন না। তারা দুপুরের লাঞ্চ বাসা থেকে নেওয়ার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন।
*ভাত, পোলাও, খিচুড়ি এসব খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই টিফিন বাক্সে খাবার নিয়ে বের হওয়ার আগে খাবার বাতাসে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। *কখনোই গরম খাবার নেওয়া যাবে না, এতে খাবার গন্ধ হয়ে যেতে পারে। *যদি খাবার ঠাণ্ডা করার সময় না থাকে, তাহলে কর্মস্থলে গিয়ে খাবারের বক্সের ঢাকনাটা একটু খুলে রাখুন।