আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় জমাজমি নিয়ে সংঘর্ষে একই পরিবারের তিন জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে স্বজন শাহ জামাল বাদি হয়ে রৌমারী থানায় ৩৪ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮-১০জনের নামে মামলা করেছেন। তবে গ্রেফতারকৃতদের নাম-ঠিকানা দিতে অস্বীকৃতি জানান পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়েনের ভন্দুচর সীমান্ত এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, ভুলু মিয়া (৬০), ফুলবাবু (৪৫) ও তাদের ভাতিজা নূরুল আমিন (৪২)।
আহতরা হলেন, মজিদ মিয়া, মজনু মিয়া, আরিফ হোসেন, ফুলো রানী, আপেল মিয়া ও বুলু মিয়া। তারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভন্দুরচর এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে আপেল গংয়ের সঙ্গে একই এলাকার শাহ জামালদের বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে শাহ জামাল গংয়ের জমিতে পানি দিতে গেলে বাধা দেয় আপেল গং। এ সময় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহ জামাল গংয়ের ওপর হামলা করেন তারা। এতে শাহ জামালের পক্ষের তিনজন নিহত হন। আহত হন উভয়পক্ষের ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আর দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।
মামলার বাদি শাহ জামাল বলেন, গত ১৯ জুলাই, আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে অভিযুক্ত আপেল গং। এ ঘটনায় ওইদিনেই বাদি হয়ে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে তার ছেলে আরিফ হোসেন। এতে পুলিশ তদন্তে যায়। পরে থানায় যোগাযোগ করা হলে, তারা (পুলিশ) বলেন, প্রসিকিউশন মামলার জন্য কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার আপন ছোট দুই ভাই ও বড় ভাইয়ের ছেলেকে হত্যা করেছে আপেল গংরা। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানান তিনি।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিষয়ে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য থানার সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত ৮-১০ নামে মামলা হয়েছে। এতে এজাহারভুক্ত তিন জন ও তদন্তপ্রাপ্ত দুইজনসহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।