আগামী ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। আর এ ম্যাচ খেলতে গতকাল শনিবার চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছেছেন বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আর্জেন্টিনা দলে তার সতীর্থ আনহেল দি মারিয়া, রদ্রিগো দি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, এনজো ফার্নান্দেস এবং নাহুয়েল মোলিনা। শনিবার আয়োজকদের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওয়েইবোতে মেসিদের চীনে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমান থেকে নামছেন মেসিরা।
এ সময় হাজারো সমর্থক বিমানবন্দরের বাইরে মেসিদের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। কেউ-কেউ তো মেসি-ডি মারিয়ার জার্সি গায়ে জড়িয়ে এসেছিলেন। তবে প্লেন থেকে নেমে সরাসরি বাসে উঠে যান এবং দ্রুত বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। সে সময় রাস্তায় বাসের দুই পাশে দাঁড়িয়ে মেসিদের অভ্যর্থনা জানায় সমর্থকরা।
এদিকে প্রীতি ম্যাচ খেলতে মেসিদের আগে বেইজিংয়ে পৌঁছেছে দলের দুই ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি এবং ক্রিস্তিয়ান রোমেরো। এছাড়া নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, জিওভান্নি সিমিওনে, লুকাস ওকাম্পোস, মার্কোস আকুনা, জার্মান পেজেলা, ফাকুন্দো বুওনানোত্তে, জেরোনিমো রুয়ি, ওয়ালতার বেনিতেস, গুইদো রদ্রিগেস, এজেকুয়েলরা দিনের আরেক ফ্লাইটে উড়ে যাবেন সেখানে। তবে দলের সঙ্গে কিছুটা বিলম্বে যোগ দেবেন দুই স্ট্রাইকার লাউতারো মার্তিনেস এবং হুলিয়ান আলভারেস। কারণ দুজনেই এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ভিন্ন দুই দলে খেলবেন।
আর এ ম্যাচ শেষ করে তারাও বেইজিংয়ের উদ্দেশে উড়ে যাবেন। এর আগে আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়ার প্রীতি ম্যাচের জন্য প্রথম দফায় ছাড়ার মাত্র ১০ মিনিটে সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। তবে টিকিটের মূল্য প্রকাশের পর এমটি মনে হয়নি। সে সময় আকাশচুম্বী দাম নিয়ে শুরুতে নানান রকমের আলোচনা সমালোচনা উঠেছিলো। তবে মেসিদের ম্যাচ সরাসরি মাঠে বসে দেখতে যে দর্শকরা দামের ধার ধারে না তা বিক্রির শুরু হওয়ার পরই দেখা যায়।