ঢাকা প্রেস: ক্রিকেটে বৈরিতা বলতেই সবার আগে মনে আসে ভারত ও পাকিস্তান। দুই প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব সরাসরি খেলার মাঠেও পড়ে। তাই যখন এই দুই দল মুখোমুখি হয়, তখন ম্যাচের উত্তাপ ছাড়িয়ে যায় দুই দেশের প্রতিটি অঙ্গনে। ম্যাচের কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয় কথার লড়াই, যার রেশ থাকে ম্যাচ শেষেও।
আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দেশের এই জমজমাট লড়াই দেখার সুযোগ বঞ্চিত হন ক্রিকেট প্রেমীরা। ২০০৮ সালের পর থেকে দুই দলের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ওই বছরই শেষবারের মতো এশিয়া কাপে ভারতের কোনো দল পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল। পরের বছরই মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
সেই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তান সফর বন্ধ করে দেয়। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান, কিন্তু ভারতের ম্যাচগুলো হয় শ্রীলঙ্কায়। আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজকও পাকিস্তান। কিন্তু এবারও ভারত জানিয়েছে যে তারা আগের এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলে খেলতে চায়। অর্থাৎ, তারা পাকিস্তান সফর করতে রাজি নয়।
কিন্তু পাকিস্তানও হাল ছাড়ছে না। ভারতকে রাজি করাতে একের পর এক নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, পিসিবি চায় ভারতের সব ম্যাচই লাহোরের একটি ভেন্যুতে আয়োজন করা হোক।
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিসিবি তিনটি ভেন্যুতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের কথা ভাবছে। করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির কথা আইসিসিকেও জানিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ভেন্যুগুলোর মধ্যে নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতের সব ম্যাচ কেবল লাহোরেই আয়োজন করতে চায় পিসিবি। টুর্নামেন্টের ফাইনালও হবে এই ভেন্যুতে।
একই ভেন্যুতে ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজনের যৌক্তিকতাও উল্লেখ করা হয়েছে সেই প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, একই শহরে ভারতের সব ম্যাচ আয়োজন করলে লজিস্টিক ও ভ্রমণকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা অনেকটা কমে যায় পিসিবির। পাশাপাশি লাহোরের অবস্থান ভারত-পাকিস্তানের ওয়াগাহ সীমান্ত।