জিহাদ হোসেন,বিশেস প্রতিনিধি:-
সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের বটতলা বাজার সহ একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাচআনী বাজার দারুন নাজাত মাদরাসা সংলগ্ন কিরনমালা জাকিয়া সুটস নামের একটি মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি। মিষ্টির দোকানে নেই Pets মূল্যতালিকা, তার ওপর প্রতিকেজি মিষ্টির খালি প্যাকেটের ওজন ২০০ গ্রাম একে তো অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, অন্যদিকে ওজনে প্রতারণার শিকার হয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
১৩ জুলাই (রবিবার) কিরনমালা জাকিয়া সুইট নামের মিষ্টির দোকানের পিছনে একটি পরিত্যক্ত রান্না ঘরে অপরিষ্কার ও স্যাঁতসেতে দুর্গন্ধময় স্থানে থরে থরে পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে এসব মিষ্টি।
গণমাধ্যমকর্মীরা মিষ্টি তৈরির স্থান টি দেখতে চাইলে দোকানের কর্মচারী ভেতরে মিষ্টির কারখানা দেখিয়ে দেন। আবর্জনার গন্ধ যুক্ত স্থানে কারখানা হওয়ায় মাছির উপদ্রব তুলণামূলক বেশি লক্ষ্য করা যায়। এমন অবস্থা পিরোজপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু মিষ্টির দোকানের। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মিষ্টির দোকানে মূল্যতালিকা না থাকায় অতিরিক্ত দামে মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে।
এসব মিষ্টির প্যাকেট ওপরের কভার হালকা থাকলেও নিচের দিক ভারী। একেকটি প্যাকেটের ওজন ১৩৫-২০০ গ্রাম। ক্রেতারা মিষ্টি ক্রয় করতে গেলে প্যাকেটসহ মিষ্টি ওজন করা হয়। এতে ক্রেতারা ১ কেজি মিষ্টি কিনলেও প্রকৃতপক্ষে পান ৭৫০-৮০০ গ্রাম। কেউ নিজের দোকানের নামে আবার কেউ বাজার থেকে প্যাকেট স্বল্পমূল্যে ক্রয় করে বিক্রি করা হচ্ছে মিষ্টির দামে।
ডিজিটাল পাল্লায় ওজনের সঙ্গে কৌশলে মিষ্টির প্যাকেটেরও ওজন দেওয়া হয়। এতে প্রতিকেজি ১৫০-২০০ গ্রাম মিষ্টি কম দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি মিষ্টির দোকানে ওজনে প্রকাশ্যে চলছে কারচুপি। মিষ্টি তৈরির কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অবস্থা আরও খারাপ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে দই, মিষ্টি। এর আশপাশে দুর্গন্ধে কোনোভাবেই থাকা যাচ্ছে না। মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করলেও তাদের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্রেতা জানান, মিষ্টি কোথায় কিভাবে তৈরি হয় সেটা তো দেখা হয় না তবে ডেকোরেশন করা চকচকে দোকান থেকে মিষ্টি ক্রয় করি। তবে এসব দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় দোকানের মালিকরা ইচ্ছামতো মিষ্টির দাম আদায় করছেন।
মিষ্টি ওজনের সময় প্যাকেটসহ পরিমাপ করছেন। আবার দইয়ের ক্ষেত্রে পাতিলের ওজনসহ বেশি দামে দই বিক্রি করছেন। আমরা দোকানদারদের কিছু বললে দোকানি বলে বেশি দামে নিলে নেন না নিলে না নেন। এটি দেখার যেন কেউ নেই। আমরা অনেকেই বেকায়দায় পড়ে বেশি মূল্য দিয়ে মিষ্টি কিনছি।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই মিষ্টি তৈরি এবং ওজনে কম দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দোকান মালিকের সহধর্মিণী এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন নিউজ করে কি করতে পারেন দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
অনুসন্ধানে আরো জানাযায় কিরন মালা জাঁকিয়া সুইটস এর মালিক স্থানীয় নুর মোহাম্মদ বেপারীর ছেলে জজমিয়া দোকানে না থাকায় তার কর্মচারীরা বলেন, দোকানের মালিক এখন দোকানে নাই মালিক আসলে কথা বইলেন আমরা কিছু বলতে পারবো না।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে নিয়মিত মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।