জানেন কি, শুধু পুষ্টিগুণ আর স্বাদেই নয়, ত্বকচর্চায়ও আমের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু ১০ মিনিটের জন্য পাকা আম ত্বকে লাগিয়ে দেখুন। ফলাফল পাবেন দ্রুতই। আমের প্যাক ব্যবহারের সুবিধা হলো, সব ধরনের ত্বকে যেকোনো বয়সে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
এ ছাড়া ত্বকের যত্নে আমের তৈরি আরও কিছু প্যাকের কথা বললেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের রূপ-বিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী।
শুষ্ক ত্বকের জন্য এক টেবিল চামচ আমের ক্বাথের সঙ্গে দুই চা–চামচ বেসন ও কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে পানিতে ধুয়ে মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ১ টেবিল চামচ আমের ক্বাথের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ১ টেবিল চামচ মসুর ডালের গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ আমের ক্বাথ ও ১ টেবিল চামচ গোলাপের পাপড়ি দিয়ে ভালো করে বেটে নিন। মুখের ত্বকে এই প্যাক ২০ মিনিট লাগালেই যথেষ্ট। হাতের ত্বকের পরিষ্কারক হিসেবেও আম বেশ কাজে দেয়। একটা আস্ত আমের সঙ্গে আধা কাপ চিনি ও একটা আস্ত লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্র্যাবার হিসেবে হাতের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
পাশাপাশি সারা বছর সংরক্ষণ করতে চাইলে আমের রস কিউব করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। হাতে সময় বেশি না থাকলে আমের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়েও প্যাক বানাতে পারেন। পাশাপাশি আম খাওয়ার পরপর এর খোসাটুকু ত্বকে ঘষে দেখুন। প্রতিদিন ব্যবহারে এই ফলাফল পাবেন নিমেষেই।
খেয়াল রাখুন
১. মুখের ত্বকের জন্য যে আম ব্যবহার করবেন, তা যেন অবশ্যই কার্বাইডমুক্ত হয়।
২. আমের যেকোনো প্যাকেই ত্বকে ২০ মিনিটের বেশি রাখবেন না।
৩. আমের ক্বাথ বের করে সঙ্গে সঙ্গেই তা দিয়ে প্যাক তৈরি করুন। না হলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হলে ত্বকের হিতে বিপরীত হবে।