ঢাকা প্রেস নিউজ
লাল, হলুদ, গোলাপী ও সবুজ— এমনকি, আপনার প্রস্রাব রংধনু মতোও হতে পারে। শুধু তাই নয়, আপনি অবাক হবেন যে এর রং বেগুনি, কমলা কিংবা নীলও হতে পারে। আবার, এগুলোর পাশাপাশি কারও কারও প্রস্রাবের রং এমন কিছুও হতে পারে, যা ঠিক স্বাভাবিক বা পরিচিত কোনও রং না।
সাধারণ কারণ:
পানিশূন্যতা: যখন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করেন না, তখন আপনার প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা এমনকি অ্যাম্বার রঙের হতে পারে।
কিছু খাবার এবং ওষুধ: কিছু খাবার এবং ওষুধ প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বিট প্রস্রাবকে লাল বা গোলাপী রঙ করতে পারে, এবং কিছু অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্রাবকে নীল বা সবুজ করে তুলতে পারে।
ব্যায়াম: তীব্র ব্যায়ামের পরে, আপনার প্রস্রাব গাঢ় হতে পারে কারণ আপনার শরীর ঘামের মাধ্যমে তরল হারিয়েছে।
অস্বাভাবিক কারণ:
লাল বা গোলাপী প্রস্রাব: এটি মূত্রনালীতে রক্তপাত, কিডনি পাথর বা মূত্রাশয়ের সংক্রমণের ইঙ্গিত হতে পারে।
গাঢ় কমলা বা বাদামী প্রস্রাব: এটি লিভারের সমস্যা, যেমন হেপাটাইটিস বা রক্তনালীতে বাধার ইঙ্গিত হতে পারে।
সবুজ বা নীল প্রস্রাব: এটি কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা একটি বিরল জিনগত ব্যাধির লক্ষণ হতে পারে।
কাঁচা প্রস্রাব: এটি ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ হতে পারে।
কখন ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন:
যদি আপনার প্রস্রাবের রঙ লাল, গোলাপী, কালচে, নীল বা সবুজ হয়। যদি আপনার প্রস্রাবের সাথে ব্যথা, জ্বালা বা অন্যান্য অস্বাভাবিক লক্ষণ থাকে। যদি আপনার প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন হঠাৎ হয় এবং কোন স্পষ্ট কারণ না থাকে।
মনে রাখবেন: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে এবং কোনও চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। যদি আপনার প্রস্রাবের রঙ বা অন্যান্য কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্বেগ নিয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।