গুঁড়িগুঁড়ি কুয়াশা বৃষ্টির মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কুড়িগ্রামের নিম্ন এবং স্বল্প আয়ের মানুষ।

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪০ অপরাহ্ণ   |   ৭৮০ বার পঠিত
গুঁড়িগুঁড়ি কুয়াশা বৃষ্টির মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কুড়িগ্রামের নিম্ন এবং স্বল্প আয়ের মানুষ।

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

উত্তরের উত্তরে শেষ জেলা কুড়িগ্রাম হওয়ায় হিমালয় থেকে নেমে আসা বাতাস, কুয়াশা আর শীতে জবুথবু অবস্থা পড়েছে এই জেলার নিম্ন আয়ের এবং স্বল্প আয়ের মানুষ। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত বৈরী আবহাওয়ার সাথে চলে অসম যুদ্ধ। দু'মুঠো ভাতের জন্য শীত, কুয়াশা, বৃষ্টি, বৈরী বাতাস মোকাবেলা করেই কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
 

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে চারদিক। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
 

আজ সকাল ১০টার দিকে সূর্যের কিছুটা দেখা মিললেও বাতাসের আর্দ্রতা ও হিমেল হাওয়ার কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
 

কুড়িগ্রামের আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, আকাশে মেঘ থাকার কারণে তাপমাত্রা কমে গেছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
 

তীব্র শীতে অতিদরিদ্র, শ্রমজীবী ও নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলের লোকজন কষ্টে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। জেলার হাসপাতালগুলোয় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যাই বেশি। এক সপ্তাহে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রায় ৪৫০ জন ডায়রিয়ার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
 

নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য তাজেল উদ্দিন বলেন, শীতের কারণে চরাঞ্চলের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। দিন এনে দিন খাওয়া এসব মানুষ কর্মহীন হয়ে খুব কষ্টে আছেন। সরকারিভাবে ত্রাণসহায়তা ও কম্বল তাঁদের এলাকায় এখনো পৌঁছায়নি।
 

আজ সকালে চিলমারী জোড়গাছ হাটের পাশের ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচরে বাদাম শুকানোর কাজ করছিলেন রেপুনি বেওয়া (৬০)। তিনি বলেন, ‘কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়া যায়। বাদাম হাত দিয়ে ধরে আলাদা করমু, সেই শক্তি থাকে না। দিনে তা–ও যেমন-তেমনভাবে থাকা যায়, রাইত হইলে শীতে জান বেড়ে যাবার চায়।’