অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ থেকে দক্ষকর্মী নিয়োগ, সবুজ শক্তি, বিশেষ করে বায়ু এবং বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি ঢাকায় একটি বাণিজ্য অফিস খোলার প্রস্তাব দিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের যাতায়াত বৃদ্ধি এবং দ্বৈত কর এড়ানোর প্রস্তাবিত চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানো, ঢাকায় একটি বাণিজ্য অফিস খোলা এবং অভিবাসন ও জনযোগাযোগ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর সম্মতি দিয়েছেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অভিবাসন ও গতিশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ পরবর্তীকালেও বাণিজ্য সুবিধার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ সোমবার ভিয়েনায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে এই প্রস্তাব দেন।
হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের আইসিটি পেশাদাররা অস্ট্রিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অবদান রাখতে সক্ষম বলে জোর দিয়েছেন।
মিয়ানমার, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের পরিস্থিতিসহ দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিষয়ে আলোচনাকালে হাছান মাহমুদ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশ থেকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সহায়তার আহ্বান জানান।
এছাড়াও:পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত "মানবতার মোড়ে: স্বায়ত্তশাসিত অস্ত্র ব্যবস্থা এবং নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ" শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন।
এই সম্মেলনে তিনি মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থায় নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থানের প্রয়োজন।