তারাপুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও কবরস্থানের কেয়ারটেকার শহিদুল ইসলাম জানান, ফজরের আজান দিতে গিয়ে তিনি আগুনের দৃশ্য দেখেন। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে স্থানীয় মানুষ ও হেফজখানার শিক্ষার্থীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, “কবরস্থানে বিদ্যুতের সংযোগ নেই এবং এটি রাস্তা থেকে কিছুটা ভিতরে। তাই মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।”
কবরস্থানের সেক্রেটারি শিক্ষক নুরুল আলম বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কমিটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দেবে এবং প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে।”
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সমশের আলী বলেন, “১৯৭১ সালে দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থানে এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ধারণা করছি, এটি ৭১ সালের পরাজিত শক্তির কারণে হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক কারণ উদঘাটন ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রিফাতুল হক জানান, “আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কবরস্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”