ঢাকা প্রেস,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রেজাউলের অপকর্মের বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জনস্বার্থে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আশিকুরসহ দুই ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত মামলা বানিজ্য, চাঁদাবাজি, ঘুষ বাণিজ্যসহ ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ জমা পড়েছে। ওই অভিযোগের অনুলিপি আইজিপি, পুলিশ কমিশনার , ও পুলিশ সুপারের দপ্তরে ও প্রেরণ করেছে দুইজন ভূক্তভোগি ।
লিখিত অভিযোগে সূত্রে জানাযায়, এ এস আই রেজাউল নিয়মিত ডিউটি শেষ করে একটি সাদা প্রাইভেট কারে যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো- গ ১৩-৩৮৯১ এই গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন সময় নিয়মিত মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন।
এ এস আই রেজাউল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর গোয়েন্দা পুলিশের থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ,অনিয়মের, ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটি অনিয়মের সত্যতা পেলে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়। তিনি যেন এসব কাজ থেকে বিরত থাকেন। তার অপরাধের জন্য পরবর্তীতে তাকে ডিবি থেকে সদর থানায় শাস্তিমূলক পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। থানায় কিছুদিন অপরাধ মূলক কাজে বিরত থাকলেও আবারও জড়িয়ে পড়েছে নানা অপকর্মে।
এদিকে সাম্প্রতিক তার বন্ধু বোদল ইউনিয়নের সোহেল সোর্স ( সোহেলকে) দিয়ে একের পর এক অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে ন। অভিযোগ রয়েছে এ এস আই রেজাউল ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে সোর্স সোহেলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। তার ভয়ে এলাকা বাসী কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় রেজাউল করিম বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে মাদক বাণিজ্য, আবাসিক হোটেল থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিভিন্ন মানুষ কে হয়রানি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়া,কেউ মুখ খুললে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দেন এএস আই রেজাউল।
উল্লেখ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, ঢাকা মেট্রো গ-১৩-৩৮৯১ গাড়িটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার সওদাগর পাড়া মসজিদ রোডের ২৭৯ নং বাড়ির কাজী কফিলুদ্দিনের ছেলে কাজী হাফিজুল ইসলামের।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা এরকম প্রকাশ্যে জনসম্মুখে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচলে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
এস আই রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবিতে থাকাকালীন অবস্থায় নাটাই ইউনিয়নের আমতলী এলাকার একটি বাড়িতে একটি মহিলাকে মারধর করে ও অস্ত্র উচিয়ে ভয় প্রদর্শন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। যা পরে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে নিরস্র করে পানিশমেন্ট প্রদান করা হয়।
এসব ব্যাপারে জানতে চেয়ে এ এস আই রেজাউল করিমকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সাংবাদিকের সাথে কোনো সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।