বরিশাল প্রতিনিধি:-
বরিশালে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় সোহরাব হোসেন আকন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রকিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ড ঘোষণার সময় আসামি সোহরাব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পেশকার অজিবর রহমান।
মামলার নথি অনুযায়ী, দণ্ডপ্রাপ্ত সোহরাব হোসেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার তয়কা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। নিহত লিমা বেগম মুলাদী পৌরসভার তেরচর গ্রামের হোসেন পাটোয়ারীর মেয়ে। লিমার প্রথম স্বামী ছিলেন ফেরদৌস। বিয়ের পর তিনি পিত্রালয়ে থাকতেন। পরে সোহরাব ভয়ভীতি দেখিয়ে লিমাকে ফেরদৌসকে তালাক দিতে বাধ্য করেন এবং ২০১৩ সালে তাঁকে বিয়ে করেন।
বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই সোহরাব লিমার বাবার কাছে জমি বিক্রি করে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে প্রায়ই পারিবারিক কলহ হতো। অবশেষে ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর সোহরাব লিমাকে হত্যা করে লাশ গুম করেন। লিমা নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বোন ডলি বেগম প্রথমে মুলাদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে সোহরাবের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। জানা গেছে, লিমা ছিলেন সোহরাবের তৃতীয় স্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে আরও এক স্ত্রী হত্যার মামলায়ও মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে, যা বর্তমানে উচ্চ আদালতে আপিলাধীন।