পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় ও বহিরাগত বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, এসব অবৈধ দখলদার তাদের ক্রয়কৃত জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য নষ্ট করছে এসব স্থাপনা।
বেড়িবাঁধের ঢালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমিতে গড়ে ওঠা একাধিক অবৈধ স্থাপনা এখনো অপসারণ করা হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় কিছু ব্যক্তি প্রথমে ছালা ও বস্তা দিয়ে বসতি স্থাপন করে। পরে সেখানে টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। বিনিয়োগকারীদের জমির আশপাশে এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বিভিন্ন বিনিয়োগকারী জানিয়েছেন, অবৈধ দখলদারদের সরানোর চেষ্টা করলে তারা হুমকি দেয়। কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে দখলদারদের অর্থ দিয়ে সরানো হয়েছে। যেমন, কুয়াকাটা গ্র্যান্ড পার্ল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের জমির সামনে থাকা চারটি পরিবারকে সরাতে ১২ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।
অন্য বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন, দখলদাররা দলিলের অজুহাত দেখিয়ে জমি দখল করতে চাইছে। এমনকি দা, ছেনা নিয়ে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। ওশান সিটি কর্তৃপক্ষের দাবি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় দখলদাররা বিনিয়োগকারীদের হয়রানি করছে।
দখলদারদের পুনর্বাসনের জন্য নয়াপাড়া এলাকায় দেড় শতক জমি দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, তারা সেখানে যেতে নারাজ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেড়িবাঁধের সৌন্দর্য রক্ষায় শিগগিরই অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ জানিয়েছেন, বিনিয়োগকারীদের হয়রানি করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
কুয়াকাটার বেড়িবাঁধে অবৈধ স্থাপনা বিনিয়োগ এবং পর্যটন শিল্পের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের সক্রিয় পদক্ষেপ এবং দখলদারদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে কুয়াকাটার সৌন্দর্য ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।