সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাহের বলেন, “ঘটনাটি আমি পরে জেনেছি। তবে এতে আমি খুব বিব্রত হইনি। কারণ বাংলাদেশের এই ধরনের নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনেক পুরোনো। আগে থেকেই দেখা যায়, কোনো সরকারপ্রধান সফরে গেলে বিরোধী পক্ষ বিক্ষোভ করে, স্লোগান দেয়। আমেরিকা গণতন্ত্রের দেশ, এখানে ১০-২০ জন মানুষ স্লোগান দিতেই পারে বা ডিমও ছুঁড়তে পারে। এটি নিঃসন্দেহে খারাপ সংস্কৃতি।”
তিনি আরও বলেন, “আসলে ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। যারা এই কাজ করেছে, তারাই অপমানিত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। পুরো ঘটনার পেছনে হাইকমিশনের বড় ধরনের কমিউনিকেশন গ্যাপ ও ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা ছিল। তাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল।”
জামায়াত নেতা মনে করেন, “আমরা বড় দুটি দল এবং এনসিপি সবাই একসঙ্গে বের হলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের কাছে আসার সাহস পেত না।”
এর আগে একই দিন (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতাকর্মীরা আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে।
এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেনের বক্তব্য তুলে ধরে তাহের বলেন, “আমরা সেই প্রজন্ম, যারা শেখ হাসিনার গুলির সামনে মাথা নত করিনি। ডিম ছোঁড়া কোনো বিষয় নয়। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।”