ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া শ্রমিক অধিকার সম্ভব নয়-ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম

প্রকাশকালঃ ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:২৬ অপরাহ্ণ ২২৫ বার পঠিত
ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া শ্রমিক অধিকার সম্ভব নয়-ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সহকারী সম্পাদক ও লক্ষীপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘এবার শ্রমজীবী মানুষের ঈদ কেটেছে অনেক কষ্ট এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে শ্রমজীবীদের দুই বেলা দু’মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তাই গণমানুষের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য দেশকে শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্রে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই।

 

তিনি দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে শ্রমিক সমাজকে ময়দানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। বুধবার লক্ষীপুরের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লক্ষীপুর শহর শাখা আয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ে এক ঈদ পূনর্মিলনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল আলম মিরনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন পরানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা উপদেষ্টা মাওলানা ফারুক হোসাইন নূরনবী, জেলা সভাপতি মমিন উল্লাহ্ পাটওয়ারী, সহ-সভাপতি আবুল খায়ের মিয়া, শহর শাখার প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান ও শহর শাখার উপদেষ্টা উপাধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ।

 

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনে লক্ষীপুর শহর শাখার সেক্রেটারি ডাঃ হারুন দেওয়ান ও সহকারী সেক্রেটারি শরীফ হোসেন শ্যামল প্রমুখ। ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘শ্রমিক সমাজ দেশের উন্নয়নের অন্যতম কারিগর ও রূপকার হলেও তারা আজও অবহেলিত, উপেক্ষিত এবং অধিকার বঞ্চিত। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করলেও তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। এমনকি তাদের জন্য জন্য ন্যূনতম বেতন কাঠামোর বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। দেশে ইসলামী শ্রমনীতি চালু না থাকায় দেশের শ্রমিক সমাজ তাদের অধিকারের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। মূলত, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই সমস্যা উত্তরণ সম্ভব। তাই সবার আগে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে জনগরে ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হবে।

 

তিনি হযরত ওরম (রা.)-এর মডেলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনের আন্দোলনে শ্রমিক-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।’ তিনি বলেন, ‘ইসলামই শ্রমিকদের প্রকৃত মর্যাদা দিয়েছে। রাসূল (সা.) শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের মজুরী পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি হাদিসে রাসূল (সা.)-এ শ্রমিকদেরকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে মহাসম্মানিত করা হয়েছে। মূলত, দেশে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক ইসলামী শ্রমনীতি চালু না থাকায় শ্রমিকরা তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া শ্রমিকদের নায্য অধিকার আদায় সম্ভব নয়। তাই শ্রমিক সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণমানুষের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সকলকে ইসলামী আদর্শের দিকেই ফিরে আসতে হবে। তিনি আর্ত-মানবতার ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য সকলকে ইসলামের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।’