 
                            
রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি চলে দুপুর পর্যন্ত। সকালেই তারা রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে অবস্থান নেয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় আজ নির্ধারিত মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
 
এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন— “রাকসু ফি দিয়েছি, ভোটার হয়ে চেয়েছি”, “লড়তে হলে লড়ব, ভোটাধিকার নিয়ে যাব”, “প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার, দিতে হবে দিতে হবে”।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই একই দাবিতে ছাত্রদল কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। আজ ছিল মনোনয়ন ফরম বিতরণের শেষ দিন, সেদিকেই চাপ তৈরি করতে তারা অবস্থান কর্মসূচি জোরদার করে।
 
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার করার দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা রাকসুর ফি দিচ্ছে, অথচ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বৈষম্য নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।”
 
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ভোটার তালিকায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের এই দাবি যৌক্তিক। আমরা তাদের আন্দোলনে সংহতি জানাই।”
 
অন্যদিকে, রাকসু কোষাধ্যক্ষ সেতাউর রহমান অভিযোগ করেন, “প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার দাবি জানাতে গিয়ে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করেছে। আমি নিজেও ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। তাদেরকে অফিসের ভেতরে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করতে দেখেছি। আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠছে, যা ছাত্রদলের কাছ থেকে আশা করিনি।”
 
উল্লেখ্য, আসন্ন ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণের শেষ দিন ছিল আজ।
 
                                                
                                                 
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                         
                                        
                                        
                                    