বাকৃবি শিক্ষার্থীরা ব্যাংক ও ট্রেজারি ভবনে তালা দিলেন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:২৬ অপরাহ্ণ   |   ৩১ বার পঠিত
বাকৃবি শিক্ষার্থীরা ব্যাংক ও ট্রেজারি ভবনে তালা দিলেন

হল ছাড়ার নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংক ও ট্রেজারি ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এটি তাদের আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন, যা আগে রেলপথ অবরোধের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ূন কবীর জানান, শিক্ষার্থীরা পূবালী ব্যাংকের শাখা এবং ট্রেজারি ভবনে প্রবেশ করে তালা দেয়।
 

কোষাধ্যক্ষ হুমায়ূন কবীর বলেন, “কোষাধ্যক্ষ কার্যালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। শিক্ষার্থীরা সেখানে তালা দিয়ে আমাদের বের করে দিয়েছে। এতে আমাদের সকলকে গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারা ১০ ঘণ্টা বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ রাখছে, এবং বহিরাগতদের হামলা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ সব উপেক্ষা করছে। বিষয়টি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, জেলা প্রশাসন দেখছে।”
 

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের আচরণ অপ্রত্যাশিত। আমরা চাই তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
 

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে জব্বারের মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ব্যাংক ও ট্রেজারি ভবনে চলে যায়।
 

শিক্ষার্থীরা জানান, “সোমবার আমরা ৬ দফা দাবি দিয়েছিলাম, প্রশাসন কোনো সাড়া দেয়নি। তাই রেলপথ অবরোধের পর ব্যাংক ও ট্রেজারি ভবনে তালা দিয়েছি। আমাদের আন্দোলন চলাকালীন কোনো কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না।”
 

পূবালী ব্যাংক বাকৃবি শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী জানান, দুপুর একটার পর শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে প্রবেশ করে স্লোগান দেয়। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকা অবস্থায় ব্যাংক খোলা রাখা অনুচিত। তারা আধা ঘন্টা সময় দেন হিসাব ক্লোজ করার জন্য, পরে আবার ফিরে এসে শিক্ষকদের বের করে মূল ফটকে তালা দেন।
 

রোববার ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের ২৫১ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে দিনভর অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বহিরাগতদের হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় রাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে এবং সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। তবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।