চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ফেসবুক লাইভে স্নাতকের সনদ পোড়ানো মুক্তা সুলতানা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের একটি প্রকল্পে চাকরি পেয়েছেন। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে মুক্তা সুলতানার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ।
আইসিটি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তা সুলতানাকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। তার বেতন হবে ৩৫ হাজার টাকা।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্রস্ত হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে, সে জন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছি। যথাযথ শিক্ষা গ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মুক্তা সুলতানা রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। মুক্তা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, সেশনজট ও করোনাভাইরাসের কারণে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করতেই আমার সার্টিফিকেট বয়স ২৭ বছর হয়েছিল। সরকারি চাকরির জন্য মাত্র তিন বছর সময় পাই। সরকারি চাকরির যে বিশাল প্রস্তুতি সেখানে তিন বছর খুবই কম সময়। চাকরি না পাওয়ার হতাশায় আমি ফেসবুক লাইভে স্নাতকের সনদ পুড়িয়েছিলাম।