ইসলামী ব্যাংকে ১৪ দিনে প্রবাসী আয় এল ১০০ কোটি ডলার

প্রকাশকালঃ ১৮ জুলাই ২০২৩ ০২:১১ অপরাহ্ণ ২৮০ বার পঠিত
ইসলামী ব্যাংকে ১৪ দিনে প্রবাসী আয় এল ১০০ কোটি ডলার

ত জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকে।

চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে (১-১৪ জুলাই) প্রবাসীরা প্রায় ১০০ কোটি ডলারের আয় দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১০ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। এর আগে পুরো জুনে আয় এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। প্রবাসী আয়সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রবাসীরা এখন প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন, সঙ্গে রয়েছে সরকারের আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ১ থেকে ৭ জুলাই প্রবাসী আয় এসেছিল ৪৬ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। ৮ থেকে ১৪ জুলাই এসেছে ৫২ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। ফলে সব মিলিয়ে আয় এসেছে ৯৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।


চলতি মাসের ১৪ দিনে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এরপর বেশি আয় এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে আয় এসেছে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এরপর পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ডলার।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী আয় সংগ্রহে শীর্ষ তালিকায় হঠাৎ সোশ্যাল ইসলামী ও ট্রাস্ট ব্যাংক চলে এসেছে। ডলারের ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিছু ব্যাংক প্রবাসী আয় সংগ্রহ করছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।


সদ্য বিদায়ী জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এই অর্থ প্রায় তিন বছরের মধ্যে কোনো একটি মাসে দেশে আসা সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল। আর সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ১২০ কোটি ডলার। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ (ব্যালান্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলার। 

এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) জানিয়েছে, দেশের প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ দুই হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। যদিও বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফের ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল—গত জুন শেষে প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ থাকতে হবে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার। ফলে এখন রিজার্ভের তিন ধরনের তথ্য মিলছে।