একাত্তরের মতো চব্বিশেও পালিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৫ মার্চ ২০২৫ ০২:৩১ অপরাহ্ণ   |   ১২৩ বার পঠিত
একাত্তরের মতো চব্বিশেও পালিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা প্রেস নিউজ


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাত্তরের মতো চব্বিশেও আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেছেন।


 তিনি দাবি করেছেন, ১৯৭১ সালে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মানুষকে একেবারে অরক্ষিত রেখে, কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আর ২০২৪ সালের আগস্টে, তারা তাদের নেতাকর্মীদের রেখে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না। তাই তাদেরকে আর কোনো গণতান্ত্রিক সুবিধা দেওয়ার চিন্তা করা সম্ভব নয়।
 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, এবং প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন এক অনন্য অবদানকারী। যারা এই ইতিহাস জানেন না, তারা জিয়াউর রহমানের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাকিস্তান আজও গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। আর যারা সেই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছিলেন, তারা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলছেন। তবে ইতিহাসের বিকৃতি কেউ করতে পারবে না।
 

এ সময় মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেন যে, সংস্কার কোনো নতুন বিষয় নয়। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের বিষয়টি সামনে এসেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই জনগণের কাছে অজ্ঞাত। বিএনপি এর প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে দেশের জনগণের কাছে মতামত দিয়েছে। প্রথম সংস্কার করেছিলেন জিয়াউর রহমান, এবং পরে মৌলিক সংস্কার করেছিলেন খালেদা জিয়া। এবার রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি।
 

নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রে প্রবেশ করতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন। তবে নির্বাচনের আয়োজন পিছিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কুতুব তৈরি হয়েছে, যারা বাংলাদেশের নৈরাজ্যের দিকে টেনে নিয়ে যেতে চায়। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকা সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত হতে দেওয়া হবে না।