চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মী নিহত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ০২:১০ অপরাহ্ণ   |   ৩৯ বার পঠিত
চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মী নিহত

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২২) নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন। সোমবার রাত ১টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন সৈয়দ শাহ রোডের মদিনা আবাসিক এলাকার সামনে এক্সেস রোডে এ ঘটনা ঘটে।
 

নিহত সাজ্জাদ বাকলিয়ার তক্তারপুল এলাকার বাসিন্দা মো. আলমের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাজ্জাদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন—জুয়েল, সাব্বির, শরীফ, ইয়াসিন, একরাম, পারভেজ ও মারুফ; তারা সবাই বাকলিয়ার বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা।
 

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা এবং যুবদল নেতা বোরহান উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।
 

বোরহানপন্থীরা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবিসহ একটি ব্যানার টানান সৈয়দ শাহ রোডে। পরে রাতের দিকে বাদশার অনুসারীরা মেয়রের নির্দেশের কথা বলে ব্যানারটি নামাতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়, একপর্যায়ে গুলিবিনিময় ঘটে।
 

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাজ্জাদসহ ৮–১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজ্জাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
 

নিহতের বড় ভাই মো. ইমরান বলেন, “রাতে মোবারক নামে এক বিএনপি কর্মী আমার ভাইকে ফোন করে বাইরে ডাকে। কিছুক্ষণ পরই গুলির শব্দ শুনি। পরে জানতে পারি, আমার ভাই আর নেই।”
 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এমদাদুল হক বাদশা পূর্বে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তবে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গত জুলাইয়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
 

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, “ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন।”