ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম: অফিসগামী মানুষের দৈনন্দিন ভোগান্তি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩২ অপরাহ্ণ   |   ৯৭ বার পঠিত
ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম: অফিসগামী মানুষের দৈনন্দিন ভোগান্তি

গাজী আব্দুল আলীম:

 

ঢাকার অন্যতম বড় সমস্যা হলো ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা। প্রতিদিন সকালে অফিস, ব্যাংক, বিমা, গার্মেন্টস ও ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত সময়ে কাজের স্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিভিন্ন পরিবহন—বাস, বিআরটিসি বাস, উবার, রিকশা, অটো সিএনজি, ইঞ্জিনচালিত রিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের ভিড়ে রাস্তায় নিয়মিত জ্যাম তৈরি হয়।
 

সাধারণত ফার্মগেট ওভারব্রিজ সকাল ৮টার পর থেকে যানজটে পরিণত হয়। বিজয় স্মরণী মোড়, ট্রাফিক সিগন্যাল, মহাখালী ওভারব্রিজ, আমতলী, তিতুমীর কলেজ ও ওয়্যারলেস গেট পর্যন্ত জ্যামের দৃশ্য দেখা যায়। গুলশান ১ থেকে বাড্ডা লিঙ্ক রোড পর্যন্ত অফিসগামী মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতও একইভাবে ব্যাহত হয়।
 

জানজটের কারণে সময়মতো অফিসে পৌঁছানো সম্ভব না হলে কর্পোরেট অফিসগুলো এক মিনিট দেরি মানেই জরিমানা। অনেক ক্ষেত্রেই তিন দিনের দেরিতে এক দিনের বেতন কেটে নেওয়া হয়। এভাবে সাধারণ কর্মজীবী মানুষ দৈনন্দিন আর্থিক চাপের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হন। সন্ধ্যায়ও সকালের মতোই জ্যামের পুনরাবৃত্তি হয়।
 

আরও গুরুতর দিক হলো—এ যানজট জরুরি সেবা যেমন এম্বুলেন্স চলাচলকে প্রভাবিত করে। গর্ভবতী মা বা গুরুতর অসুস্থ রোগী সময়মতো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পৌঁছাতে না পারলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।
 

এছাড়া দূর্ঘটনার হার প্রতিদিন বাড়ছে। দূরপাল্লার বাসগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে অন্য যানবাহনকে ঠেলে দেওয়া হয়। মোটরসাইকেল আরোহীরা ফুটপাত ব্যবহার করতে গিয়ে পথচারীকে বিপদে ফেলে।
 

বেপরোয়া যান নিয়ন্ত্রণ জরুরি। উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে অনেকাংশে যানজট কমানো সম্ভব। যদি ঢাকা জেলা ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, লক্ষ লক্ষ মানুষ যানজট ও দূর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পাবেন, সময় বাঁচবে এবং জীবনের ঝুঁকি কমবে।
 

প্রশ্ন থাকে—ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কর্তৃপক্ষ কি এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবেন?