আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা প্রতিনিধি:-
দিন যাচ্ছে মানুষের কর্মব্যস্ততা বাড়ছে। সেই সাথে সকল অনিয়ম এখন নিয়মে পরিনত হচ্ছে। কুমিল্লা সিটির বিভিন্ন রাস্তায় ভবনের নির্মাণ সামগ্রী রেখে কাজ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। যানজট-দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ইট-পাথর-বালু ফেলে রাখছেন ভবন মালিকরা। আইন অনুযায়ী রাস্তায় ইট, বালু ও পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাখা বেআইনি। কিন্তু তারপরও এ বিধান কেউ মানছেন না। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলে আসলেও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো জোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়াডের কোটবাড়ী এলাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এর সামনেসহ বিভিন্ন এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের কাজে ইট, বালু ও পাথর রাস্তার ওপর মজুদ করে রেখেছে। ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ওই সব নির্মাণ সামগ্রীর কারণে পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের ফুটপাতটিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নির্মাণাধীন ভবনের মালিক ও বিভিন্ন ডেভোলপার কোম্পানির লোকজন রাস্তা বন্ধ করে নির্মাণ সামগ্রী মজুদ করে রেখেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। শুধু তাই নয়, মাঝে-মধ্যে এ কারণে ফাঁকা রাস্তায় প্রায়াই যানযট লেগেই থাকে। এরপরও নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। আগে কম থাকলেও বর্তমান সময়ে সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী বেশি রাখা হচ্ছে। ব্যবস্থা না নেয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
বালু ব্যাবসায়ী স্বপ মিয়া বলেন, আমি বড়, ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু এনে ট্রাকে থাকা অবস্থায় ট্রাকটারের উপর আনলোড করে সেই বালু পার্টি বাড়িতে নিয়ে যায়। এই রাস্তার পাশে স্থায়ী ভাবে ফেলে রাখা হয় না। বর্তমানে যে বালু গুলো দেখছেন সেই বালু, পাথর, অন্যান নির্মান সামগ্রী মোড়ের ভিতরের বাড়ি ঘরের মানুষের মালামাল।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ লুৎফুর রহমান বলেন, এলাকার বাসিন্দারা তাদের নির্মান সামগ্রী আমার সীমানা প্রাচীরের পাশে রাখে আমাদের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষকদের সাময়িক সমস্যা হয়। সিটি কর্পোরেশন এবং ট্রাফি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন আমারতো কিছু করার নাই।