খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:-
খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে ডাকা অবরোধ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং প্রশাসনের দেওয়া ৮ দফা দাবির বাস্তবায়নের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সংগঠনটি ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত রেখেছিল। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘স্থগিত অবরোধ’ এখন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনের আশ্বাস বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি, ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। আলোচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয় এবং নিহতদের পরিবারকে নগদ সহায়তা দেওয়ার কথাও জানানো হয়।
‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র মিডিয়া সেল জানায়, সংগঠনের জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—শহীদদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পূণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিকভাবে বিবেচনায় রেখে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত ‘স্থগিত অবরোধ’ কর্মসূচি আপাতত প্রত্যাহার করা হলো।
তবে সংগঠনটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, প্রশাসন দ্রুত তাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না করলে, ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ আরও কঠোর, ব্যাপক ও অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে দ্বিধা করবে না।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে। অবরোধ চলাকালে ২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারা উপজেলায় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।