মুদ্রার দরপতন ঠেকাতে প্রতিদিনই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন

প্রকাশকালঃ ২২ আগu ২০২৩ ০৪:২৩ অপরাহ্ণ ২০৫ বার পঠিত
মুদ্রার দরপতন ঠেকাতে প্রতিদিনই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন

তি হারানো অর্থনীতিকে চাঙা করতে ও মুদ্রার দরপতন ঠেকাতে প্রতিদিনই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে চীনের কেন্দ্রীয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তার অংশ হিসেবে এবার মুদ্রার দর বৃদ্ধিতে অফশোর মার্কেট থেকে ইউয়ান কিনছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। এর পেছনের যুক্তি হলো, হংকংয়ের ডলার বাজারের মতো অফশোর মুদ্রাবাজারে ইউয়ানের স্বল্পতা তৈরি হলে চীনা মুদ্রার দর বাড়বে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর অফশোর মুদ্রাবাজারে অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। কখনো কখনো আবার তারা নিজেরাই লেনদেন করতে পারে বা গ্রাহকের হয়েও কাজ করতে পারে।

এ বিষয়ে রয়টার্সের সূত্রগুলো বলছে, অফশোর বাজার থেকে ব্যাংকগুলো ইউয়ান তুলে নিলে মুদ্রা স্থিতিশীল হতে পারে।


বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব উদ্যোগের কারণে ইউয়ানের দরপতন হবে—এমন পূর্বাভাস থেকে মুদ্রা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মুদ্রা কারবারিদের এখন কিছুটা ভাবতে হবে। অর্থাৎ শর্ট পজিশন নেওয়ার আগে বা মুদ্রার দরপতনের আশঙ্কায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে হলে যে পরিমাণ অর্থ জামানত হিসেবে রাখতে হয়, তার পরিমাণ বাড়বে; যদিও বিষয়টি নির্ভর করবে ইউয়ানের স্থিতিশীলতা ও এই লেনদেনের ঝুঁকির ওপর।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর এই উদ্যোগের কারণে অফশোর বাজারে ইউয়ানের দর ঘুরে দাঁড়িয়েছে, প্রতি ডলারের বিপরীতে এখন ৭ দশমিক ২৮৩ ইউয়ান পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ গতকাল তা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া দেশের মধ্যেও ইউয়ানের দর দাঁড়িয়েছে ডলারের বিপরীতে ৭ দশমিক ২৮।

চলতি বছর ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের ৫ শতাংশ দরপতন হয়েছে। মূলত চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


এদিকে অর্থনীতির গতি বাড়াতে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না নীতি সুদহার কমিয়েছে। তারা এক বছর মেয়াদি ঋণের জন্য নীতি সুদহার ১০ ভিত্তি পয়েন্ট কমিয়েছে, যদিও বাজারের প্রত্যাশা ছিল, নীতি সুদহার অন্তত ১৫ ভিত্তি পয়েন্ট কমানো হবে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের অর্থনীতি নানা কারণে গতি হারিয়েছে—আবাসন খাতের নতুন ঋণসংকট, ভোক্তা ব্যয় ও ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া। এসব কারণে বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা ছিল, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার লাগাম আরও কিছুটা ছাড়বে, কিন্তু সেটা শেষমেশ হয়নি।

তবে অনেক বিশ্লেষক আবার মনে করেন, চীন সম্ভবত মুদ্রার কথা ভেবেই নীতি সুদহার খুব বেশি কমায়নি। যেহেতু মুদ্রাবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় চীন সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয়, তাই এই ধীরে চলো নীতি।