বাংলাদেশে মানবাধিকার: স্থবিরতা অব্যাহত
প্রকাশকালঃ
২৩ এপ্রিল ২০২৪ ০১:০৫ অপরাহ্ণ
২২১ বার পঠিত
মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির অভাব
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। প্রতিবেদনে নির্বাচন-সম্পর্কিত সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা অপব্যবহার সহ বিভিন্ন উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
প্রধান উদ্বেগ:
- নির্বাচন-সম্পর্কিত সহিংসতা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে নির্বাচনের সময় বিরোধী দলের কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতিপ্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে।
- বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংক্ষিপ্ত বিচার ছাড়াই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
- গুম ও অপহরণ: প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সরকারি বিরোধী ব্যক্তিদের গুম ও অপহরণের ঘটনাও ঘটেছে।
- নির্যাতন: আটককৃত ব্যক্তিদের নির্যাতনের অভিযোগও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
- মত প্রকাশের স্বাধীনতা: সরকার সমালোচনামূলক মত প্রকাশকে দমন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপব্যবহার: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, হত্যা এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগের তদন্তে দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ সরকারকে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- নির্বাচন-সম্পর্কিত সহিংসতার তদন্ত করা এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনা।
- বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা এবং এসব ঘটনার তদন্ত নিশ্চিত করা।
- গুম ও অপহরণের অভিযোগ তদন্ত করা।
- নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রণয়ন করা।
- মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা।
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আন্তর্জ