তাজ মাহমুদ, লংগদু (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি
ঢাকা প্রেসঃ
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন লংগদু উপজেলার বাইট্টাপাড়া তিনটিলা এলাকায় নিজ বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাকারী জেসমিন আক্তার (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রীর গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত জেসমিন আক্তার তিনটিলা এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জাবেদ (প্রবাসী) ও আনোয়ারা দম্পতির মেয়ে।
গতকাল ০৪জুন, ২০২৪ রোজ মঙ্গলবার সকালে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে লংগদু সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী জেসমিন আক্তার। আত্মহত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্ত প্রতিবেশী প্রেমিক ফরহাদকে গ্রেফতার করেছে লংগদু থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত প্রেমিক ফরহাদ লংগদু সদর ইউনিয়নের বাইট্টাপাড়া তিনটিলা এলাকার একই গ্রামের ওসমান গনির ছেলে।
লংগদু থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ও জেসমিন দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে জানা যায়, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। এর একটু পরেই মেয়েটি আত্মহত্যা করে। এই সূত্রের সত্যতা নিশ্চিত করে, লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ অভিযান পরিচালনা করে ফরহাদকে গ্রেফতার করেন।
জেসমিনের মা বলেন, প্রতিবেশী ফরহাদ প্রায় সময় আমার মেয়েকে প্রেমের নামে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এসব বিষয়ে ছেলের পরিবারকে বারবার বলা হলেও তারা কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি। মৃত্যুর আগেও আমার মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ফরহাদ। তখন আমি বাসায় ছিলাম না। বাসায় এসে দেখি আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। প্রশাসনের মাধ্যমে আমি আমার মেয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
৪ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে লংগদু ইউনিয়নের বাইট্টাপাড়া তিনটিলা নিজের বসত ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় জেসমিন। সে লংগদু মডেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে মোবাইল ফোনের তথ্য ও পরিবার এবং এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যমতে তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা উঠে আসে। পরবর্তীতে মেয়ের মা বাদী হয়ে লংগদু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে লংগদু থানা পুলিশ প্রেমিক ফরহাদকে গ্রেফতার করেন। এর আগে ভিকটিমের মরদেহ ময়না তদন্ত করে, পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এদিকে প্রেমিককে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।