ঢাকা প্রেস
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তার লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর), বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদ ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রাম থেকে অরুণ মিয়া নামে এক ব্যক্তির ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনের বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ট্যাংক থেকে পলিথিনে মোড়ানো লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে।
নিহত অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফরদাবাদ গ্রামের তারু মিয়ার মেয়ে মোমেনা বেগমকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো। গত শুক্রবার থেকে অরুণ নিখোজ ছিলেন। তার ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল সোমবার বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি নিখোজ ডায়েরি করেছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার তাদের মধ্যে তুচ্ছ কারণে কলহ হয়। একপর্যায়ে তিনি শাবল দিয়ে অরুণের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান। পরে তিনি লাশ নয় টুকরো করে পলিথিনে মোড়ানো ইট দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় মোমেনা বেগমসহ তাদের দুই সন্তান রাসেল ও লাকী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।