সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি জবান আলী হত্যার ১০ বছর পর এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতে মামলাটি করেন নিহত জবান আলীর বড় ভাই আব্দুল হামিদ।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নাসির উদ্দিন জানান, আদালতের বিচারক বিল্লাল হোসাইন মামলার শুনানি শেষে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী আদেশ দেবেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় জবান আলীকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রধান আসামিদের মধ্যে রয়েছেন:
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, জবান আলীর সঙ্গে আসামিদের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি জবান আলী ঢাকায় যান। ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে সদর উপজেলার কড্ডার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা তাকে দুটি সাদা হায়েস মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে।
পরে জবান আলীর মোবাইল ফোন থেকে তার ভাই আব্দুল হামিদের কাছে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবার মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা নবীদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে জমা দেয়। তবে তারপরও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সদর উপজেলার কোনাগাতী ব্রিজ এলাকায় জবান আলীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
পরিবারের অভিযোগ, হত্যার পর মামলা করতে গেলে আসামিরা তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ফলে ঘটনার সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি।
এতদিন পরেও বিচার চেয়ে মামলাটি করা হলো বলে বাদী পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।