ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ দুজন নিহতের ঘটনায় প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে মুশল্লী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলের মুশল্লী এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা যানবাহন ভাঙচুরের পাশাপাশি এম কে সুপার বাসের কয়েকটি আসন বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্র ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কের মুশল্লী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী ইজি বাইককে চাপা দেয় ময়মনসিংহগামী বেপরোয়া বাস এম কে সুপার পরিবহন। এতে ওই ইজি বাইকের ভেতরে থাকা পাঁচজন যাত্রী সড়কে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন স্থানীয় মাদরাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম (৩৭)। পরে আহত অবস্থায় অন্য চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান কলেজছাত্রী বৃষ্টি আক্তার (২১)।
তা ছাড়া স্থানীয় মুশল্লী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সানজিদা ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর বাস মালিক ও প্রশাসনের কোনো লোকজন ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষুব্ধ হয় শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে মহাসড়কে উপস্থিত হয়ে ব্যানার হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয় তারা। এ সময় নান্দাইল থানা পুলিশের একটি দল তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে যানজটের সৃষ্টি হয়। নান্দাইল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কয়েকজন বহিরাগত এসে শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে একটি বাস ভাঙচুর ও বাসের ভেতর থেকে কয়েকটি আসন বের করে এনে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’