গত শনিবার নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় এক শিশু, দুজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেগুলো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সদরঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. সোহাগ রানা জানান, প্রথমে মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় কালো বোরকা প্যাঁচানো ছিল এবং পরনে গোলাপি সেলোয়ার-কামিজ। এক ঘণ্টা পর একই স্থান থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে ওড়নায় প্যাঁচানো অবস্থায় তিন বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়। পুলিশ ধারণা করছে, তারা মা-ছেলে হতে পারে। গলায় কাপড় প্যাঁচানো থাকায় শ্বাসরোধে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে কেরানীগঞ্জের বরিশুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোক্তার হোসেন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জিনজিরা ইউনিয়নের মাদারীপুর জামে মসজিদের কাছে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একজন পুরুষের পরনে ছিল কালো ট্রাউজার ও চেক ফুলহাতা শার্ট, অন্য নারীর পরনে ছিল ছাই রঙের গেঞ্জি ও লাল সেলোয়ার। তাদের শরীরে হালকা আঘাতের চিহ্ন এবং লাশের সঙ্গে ৫০ কেজি চালভর্তি বস্তা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর লাশ গুম করতে নদীতে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেন জানান, উদ্ধার হওয়া নারী ও শিশুর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। একইভাবে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুল হক ডাবলু বলেন, জিনজিরা থেকে উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষের পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।