নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত গীতাঞ্জলী কাব্য নিয়ে কিছু অজানা কথা
প্রকাশকালঃ
২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:৩০ অপরাহ্ণ
৪৯৫ বার পঠিত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলী কাব্য বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বসাহিত্যে অমর হয়ে আছেন। গীতাঞ্জলী কাব্যের অসংখ্য অজানা কথা আছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:
- গীতাঞ্জলী কাব্যের মূল বিষয়বস্তু হলো মানবপ্রেম, মানবতাবাদ এবং বিশ্বভ্রাতৃত্ব। এই কাব্যে রবীন্দ্রনাথ মানব জীবনের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরেছেন।
- গীতাঞ্জলী কাব্যের কবিতাগুলি মূলত গীতিধর্মী। এই কাব্যের কবিতাগুলিতে রবীন্দ্রনাথের সুন্দর ও মনোজ্ঞ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
- গীতাঞ্জলী কাব্যের কবিতাগুলির অনুবাদ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় করা হয়েছে। এই কাব্যের কবিতাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
- গীতাঞ্জলী কাব্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এই পুরস্কার লাভের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বের প্রথম এশীয় হিসেবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
গীতাঞ্জলী কাব্যের আরও কিছু অজানা কথা হলো:
- গীতাঞ্জলী কাব্যের প্রথম কবিতাটি হলো "প্রভাত"। এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ১৮৯০ সালে লিখেছিলেন।
- গীতাঞ্জলী কাব্যের শেষ কবিতাটি হলো "উপনিবেশ"। এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ১৯১০ সালে লিখেছিলেন।
- গীতাঞ্জলী কাব্যের কবিতাগুলি রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন সময়ে লিখেছিলেন। এই কাব্যের কিছু কবিতা ১৮৯০ সালের আগে লিখিত, আবার কিছু কবিতা ১৯১০ সালের পরে লিখিত।
- গীতাঞ্জলী কাব্যের কবিতাগুলি রবীন্দ্রনাথ মূলত বাংলা ভাষায় লিখেছিলেন। এই কাব্যের কিছু কবিতা ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে রবীন্দ্রনাথ তার আমেরিকান বন্ধু অ্যানি বেসান্তকে পাঠিয়েছিলেন।
- গীতাঞ্জলী কাব্যের কবিতাগুলির ইংরেজি অনুবাদ করেন অ্যানি বেসান্তের সহযোগী উইলিয়াম রোজেন।
- গীতাঞ্জলী কাব্যের কবিতাগুলির ইংরেজি অনুবাদটি ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয়। এই অনুবাদটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
গীতাঞ্জলী কাব্য বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। এই কাব্যের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বসাহিত্যে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেন।