মোঃশফিকুল ইসলাম, চারঘাট (রাজশাহী):-
পদ স্বাস্থ্য সহকারী। দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন না করে দীর্ঘদিন ধরে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। উপজেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য সহকারীর পদ না থাকায় তিনি কখনও দায়িত্ব পালন করছেন পরিসংখ্যানবিদ, কখনও প্রধান হিসেব রক্ষণ কর্মকর্তা, কখনও আবার দায়িত্ব পালন করছেন অফিস সহকারী হিসেবে। এভাবেই নিজ দায়িত্ব পালন না করে বিগত শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন মাইমুল হাসান লিপন নামের এক ব্যাক্তি। তবে মাইমুল হাসান লিপনের দাবি , বিগত টি, এস, এ স্যারের নির্দেশক্রমে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান মাইমুল হাসান লিপন নামের এক ব্যাক্তি। সেখানে তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে টিকা প্রদান করতেন। হঠাৎ করে বিগত শেখ হাসিনার ক্ষমতাকালে গ্রামে গ্রামে টিকা প্রদান করা স্বাস্থ্য সহকারী পদ থেকে লাফিয়ে বুনেযান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ। পরিসংখ্যানবিদ হওয়ার পর থেকে তিনি বিভিন্ন সময় ছড়ি ঘুরাতে থাকেন হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে কর্মচারীদের উপর।এভাবে ২০২২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসলে তার ক্ষমতার উৎস নিয়ে চিকিৎসকসহ কর্মচারীদের মধ্যে শুরু হয় নানা ধরণের আলোনা-সমালোচনা। বিষয়টি বিগত স্বাস্থ্য পরিচালকের নজরে আসলে তাকে দ্রুত স্বপদে ফিরে যাবার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে তিনি কিছুদিন স্বপদে স্বাস্থ্য সহকারীর পদে দায়িত্ব পালন করলেও রহস্যজনক ভাবে বিগত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান টিএসএ ডা: আশিকুর রহমানের ছাত্রছায়ায় আবারো ফিরে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে তিনি এবার অফিস সহকারীর পদ দখল করেন। অভিযোগ রয়েছে, অফিস সহকারীর পদ দখল করলেও তিনি পরিসংখ্যানবিদ ও প্রধান হিসেব রক্ষন কর্মকর্তার দায়িত্বও তদারকি করেন। বিষয়টি সম্পর্কে মাইমুল হাসান লিপনের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এপদে থাকতে চাইনা। বিগত টিএসএ স্যারের কারনেই আমি দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার নিয়োগ স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ইউনিয়নে কে দায়িত্ব পালন করছেন বলে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমার উধ্বের্তন কর্মকর্তা এবিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ তৌফিক রেজা বলেন, মাইমুল হাসান লিপন আমার যোগদানের আগে থেকেই তিনি হাসপাতালে অফিস সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন। শুনেছি তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তার লিখিত আদেশেই দায়িত্ব পালন করছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা: এস আই এম রাজিউল করিম বলেন, লোকাল কর্মকর্তা যে কাউকে যে কোন জায়গায় প্রয়োজন মনে করলে তাকে কাজে লাগাতে পারেন। তবে স্বাস্থ্য সহকারী পদে দায়িত্ব পালন কে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, নিশ্চয় সেখানে অন্য লোকদিয়ে দায়িত্ব চলমান রাখা হয়েছে।