অবৈধ ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে কুড়িগ্রামে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৬ অপরাহ্ণ   |   ৯৭ বার পঠিত
অবৈধ ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে কুড়িগ্রামে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলায় অবৈধ ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদ এবং এসব ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ইট প্রস্তুতকারী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে তারা। বিভিন্ন ইটভাটার মালিক–শ্রমিক মিলে পাঁচ শতাধিক মানুষ আজ রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে সমাবেশ ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

 


 

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের পরিবেশ আইন অনুযায়ী জেলার অধিকাংশ ইটভাটাকে পরিবেশের ছাড়পত্র প্রদান না করায় এ বছর সেগুলোর মধ্যে ৭২টি ইটভাটা অবৈধ ভাটা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 


 

সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসী, খায়রুল ইসলাম, শ্রমিকনেতা মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ। তাঁরা বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কলকারখানা নেই। জেলায় ১০৫টি ইটভাটায় প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এসব ইটভাটা প্রায় ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে চলমান। এসব ইটভাটা কাস্টমস ভ্যাট, আয়কর, বাণিজ্যিক হারে জমির খাজনা, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, শ্রম অধিদপ্তর লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ প্রতিবছর ১০ থেকে ১১ লাখ টাকা অগ্রিম রাজস্ব দিয়ে আসছে। এ ছাড়া ইটভাটা পরিচালনার অন্যান্য খাতের জন্য ব্যাংকঋণ বা দায়দেনা করেছে। শ্রমিকদের অগ্রিম হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা ছয় মাস আগে প্রদান করা হয়েছে।
 

এ সময় ইটভাটাগুলো বন্ধ করলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকেরা। এতে জীবন–জীবিকা ব্যাহত হয়ে পড়বে বলে জানান তাঁরা। ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছি। একেকটি ইটভাটায় ৩০০ থেকে ৫০০ শ্রমিক কাজ করেন। এখন হঠাৎ ইটভাটা বন্ধ করলে শ্রমিকেরা যেমন কর্ম হারাবেন, তেমনি আমরাও ঝুঁকিতে পড়ব। তাই আগামী তিন মাস ইটভাটা পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়ার জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই।’
 

সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলায় ৭২টি অবৈধ ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ইট প্রস্তুত করে আসছে। আমরা ইতিমধ্যে তাদের ইট তৈরি ও পোড়ানো কাজ শুরু করতে নিষেধ করেছি। তারা আমাদের কথা না মেনেই ইট পোড়ানোর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমরা এ বছর ১২টি ইটভাটায় অভিযান করেছি। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।